শান্ত আলাদা ক্যারেক্টার, টাফ ছেলে : সালাউদ্দিন

গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বুধবার (১৮ জুন) দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৮৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ মুশফিক ১৬৩, শান্ত ১৪৮ ও লিটন ৯০ রান করে আউট হয়েছেন।
প্রথম দিনে শুরুতেই ৪৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ২৬৪ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক শান্ত।
দ্বিতীয় দিন শেষে তাই বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রশংসায় ভাসালেন তিনজনকেই। সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে গত কয়েক ম্যাচে সে (মুশফিক) খুব বেশি রান পাচ্ছিল না। এখানে দারুণভাবে কামব্যাক করেছে। ক্যারেক্টার দেখিয়েছে। শান্তও পেরেছে। সেও কিছুটা চাপে ছিল। লিটনও অনেকদিন পরে রান পেল। এগুলো ড্রেসিংরুমের জন্য ইতিবাচক ব্যাপার।’
শান্তকে বললেন ‘টাফ ছেলে’, অধিনায়ক হিসেবে কঠিন মানসিকতার একজন। শান্তকে নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘তার (শান্তর) আঙুল অনেক ফোলা ছিল, সে আঙুলে ব্যথা নিয়েই খেলেছে। শান্ত আলাদা ক্যারেক্টার, সে অনেক টাফ ছেলে। এত ট্রলের পরও তার মাথা যেভাবে ঠিক রাখে, আমার মনে হয়, সেটা স্বাভাবিকভাবে অনেক ছেলেই হয়তো ধরে রাখতে পারবে না। সে মেন্টালি টাফ ক্যারেক্টার, লিডার হিসেবে সে তার ক্যারেক্টার শো করেছে, যেটা ছেলেদের জন্য উপকার হবে।’
গলে এর আগে ২০১৩ সালে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক রহিম, সেটিই তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। আবারও আশা জাগিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১৬৩ রানে। তবে অনেকদিন পর তার কামব্যাককে সালাউদ্দিন ভালোভাবেই খেছেন। তিনি বলেন, ‘সে এমন একজন ব্যক্তি যে কিনা দলকে অনুপ্রাণিত করে। কারণ সে অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার। গেল কিছু ম্যাচে রান পাচ্ছিল না, কিন্তু তার ওয়ার্ক এথিকস দারুণ। ড্রেসিংরুমে সবসময় সে তার এই ক্যারেক্টার দেখায়। আমরা আসলে এমনটাই চাই একজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের কাছ থেকে। এইটা একটা অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতো ইনিংস, যা আসলে অন্য ব্যটসম্যানদের সাহায্য করবে।’