ইতিহাস গড়ে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করল বাংলাদেশ

দেশের ফুটবলে নতুন এক জোয়ার বইছে। যে জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। একের পর এক আসছে সাফল্য। ক’দিন আগেই প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। একমাস পরই আবারও এশিয়ান মঞ্চে খেলা নিশ্চিত করল বাংলাদেশের আরেক দল। অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে কোয়ালিফাই করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল।
আজ রোববার (১০ আগস্ট) শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়া কাপে কোয়ালিফাই করতো বাংলাদেশ। কিন্তু কোরিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে অপেক্ষা বাড়িয়েছিল আফঈদা-সাগরিকারা। সেই অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি। দিনের আরেক ম্যাচে চীনের কাছে লেবানন বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় সেরা তিন রানার্সআপ দলের মধ্যে থেকে এশিয়ান কাপ খেলা নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
এক মাসের ব্যবধানে এশিয়ার মঞ্চে কোয়ালিফাই করল বাংলাদেশের দুটি দল। দুই দলের সাফল্যেই জড়িয়ে আছে দুটি নাম অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ও কোচ পিটার বাটলার। বয়স কম হওয়ায় জাতীয় দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২০ দলের অধিনায়কও তিনি। এই দলের কোচ করা হয়েছিল পিটার বাটলারকেই।
দেশের ফুটবল ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে কুয়েতে হওয়া এশিয়ান কাপে খেলেছিল বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় ফুটবল দল। এরপর ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ খেলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর আরও দুইবার এশিয়ান মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দল। ২০১৭ ও ২০১৯ আসরেও খেলেছিল তারা। এবার প্রথমবার এশিয়ান মঞ্চে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল।
লাওসে বাছাইপর্বে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের হারিয়েছিল ৩-১ গোলের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ভাসিয়েছিল গোল বন্যায়। জয় পেয়েছিল ৮-০ গোলে। দুই ম্যাচ শেষে গ্রুপের সেরা দল ছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
দিনের আরেক ম্যাচে চীনের বিপক্ষে ৮-০ গোলের হেরেছে লেবানন। তাদের এই হারে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলা।
আগামী বছর থাইল্যান্ডে বসবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে। ১ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ এপ্রিল। স্বাগতিক হিসেবে আগেই নিজেদের খেলা নিশ্চিত করেছে থাইল্যান্ড।