কত টাকা বেতনে বাংলাদেশে এলেন টনি হেমিং?

আগেও একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পিচ কিউরেটর টনি হেমিং। দুই বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই ২০২৪ সালে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন তিনি। তখন স্পষ্ট কারণ জানা না গেলেও বিসিবির সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই যে, বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান পিচ কিউরেটর সেটা বোঝা গিয়েছিল।
দ্বিতীয় মেয়াদে আবারও বাংলাদেশের ফিরেছেন টনি হেমিং। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড আগামী দুই বছরের জন্য বিসিবির টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তাকে। এরপর পাশাপাশি দেশের মাঠকর্মীদের প্রশিক্ষণও দেবেন তিনি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসে নিজের কাজও শুরু করে দিয়েছেন হেমিং।
হেমিংয়ের দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশে আসা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে ক্রিকেট পাড়ায়। অনেকের মনেই প্রশ্ন, দ্বিতীয় মেয়াদে কত টাকা বেতনে বাংলাদেশে এলেন এই অস্ট্রেলিয়ান পিচ কিউরেটর।
জানা গেছে, প্রতিমাসে আট হাজার ডলার পারিশ্রমিক পাবেন টনি হেমিং। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১০ লাখ টাকার কাছাকাছি। সে হিসেবে হেমিংয়ের বাৎসরিক বেতন দাঁড়াচ্ছে এক কোটি ১৬ লাখ টাকার কিছু বেশি। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এখন সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া পিচ কিউরেটর তিনি। এই বেতনের সঙ্গে অন্যান্য সব সুযোগ সুবিধাও তিনি পাচ্ছেন। আর হেমিং চাকরি ছাড়তে চাইলে বিসিবিকে জানাতে হবে কমপক্ষে দুই মাস আগে।
পিচ কিউরেটর হিসেবে বেশ অভিজ্ঞ টনি হেমিং। প্রায় চার দশক ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। অস্ট্রেলিয়ার আইকনিক মেলবোর্ন, পার্থ এবং তাসমানিয়া স্টেডিয়ামে কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন। প্রায় একদশক দুবাইয়ে আইসিসির প্রধান পিচ কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পিচ কিউরেটর হিসেবে।