কোথায় ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, কী বলছেন লিটন?

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সহজেই পরাজয় বরণ করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বলা যায় শ্রীলঙ্কা একতরফাভাবেই ম্যাচটিতে জয় পেয়েছে। বাংলাদেশের স্মার্ট ক্রিকেট খেলার যে লক্ষ্য ছিল, সেটি দেখা যায়নি। বরং টপ অর্ডারের ব্যাটিং ধস শুরুতেই হারের আভাস দিয়ে দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে হেরেছে লিটনরা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাসও বলেছেন, তিনিও ম্যাচের হারটা দেখতে পেয়েছেন পাওয়ার প্লেতেই। ভালো উইকেটে ব্যাটিং ব্যার্থতা তাদের লড়াই থেকে ছিটকে দিয়েছে।
লিটন বলেন, ‘আমি মনে করি, পাওয়ারপ্লেতেই আমরা ম্যাচটা হেরে গিয়েছিলাম। উইকেটটি ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। ১৭০-১৮০ রান করতে পারলে ম্যাচটা একবারে ভিন্নরকম হতো। যদি ভালো উইকেটে আপনি মাত্র ১৪০ রান করেন, তাহলে বোলিং ও ফিল্ডিং ভালো করতে হয়—যা আমরা করতে পারিনি।’
দলের রানের খাতা না খুলতেই বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন সাজঘরে ফিরেছেন। দলীয় ১১ রানে ফিরেছেন তাওহিদ হৃদয়। পাওয়ার প্লেতেই নেই তিন উইকেট।
এরপর ৩৮ ও ৫৩ রানে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অবশ্য বাংলাদেশের এই রোগ পুরোনো। একবার ব্যাটিং ব্যর্থতা শুরু হলে একে এক লাইন ধরে ফিরতে থাকেন সাজঘরে।
টপ অর্ডারে ব্যাটিং ধ্বসের পরও বাংলাদেশের যে ১৩৯ রানের পুঁজি এসেছে তার কৃতিত্বটা জাকের ও শামীম হোসেনের। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশেকে ষষ্ঠ উইকেটে টেনে তুলেছেন এই দুজন। জাকের-শামীম ৬১ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়ের। তবে এই অল্প পুঁজি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
সুপারে ফোরে উঠতে শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বলা যায় বাঁচা-মরার লড়াই। পরের রাউন্ডে যেতে হলে আফগানিস্তানকে হারাতেই হবে। তবে এমন হারের পরও হতাশ হচ্ছেন না লিটন দাস। তিনি সমর্থকদের মাঠের এসে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই বলেছেন।
লিটন বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা আমাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। আমাদের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই, আশা করি তারা আবারও মাঠে আসবেন।’