ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটকে অপসারণের দাবি জানাল পিসিবি

এশিয়া কাপের ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটারদের হাত না মেলানোর ঘটনার রেশ বেড়েই চলেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবার ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে এশিয়া কাপের ম্যাচ রেফারি প্যানেল থেকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে। আইসিসির এই ম্যাচ রেফারির কাছে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে একদিন প্রতিবাদ জানানোর পর, পিসিবি এখন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদনে এমনটিই উঠে এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একটি পোস্টে পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি জানিয়েছেন, ‘ম্যাচ রেফারি আইসিসি কোড অফ কন্ডাক্ট এবং এমসিসি আইন লঙ্ঘন করেছেন যা ক্রিকেটীয় চেতনার বিপক্ষে যায়। পিসিবি আইসিসির কাছে অভিযোগ করেছে এবং অবিলম্বে ম্যাচ রেফারির অপসারণ দাবি করেছে।’
পিসিবির প্রধান অভিযোগ হলো, পাইক্রফট একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেছেন। তাদের দাবি, ম্যাচ রেফারি হিসেবে তিনি অধিনায়কদের হাত না মেলানোর নির্দেশ দিতে পারেন না। এছাড়া ম্যাচ শেষে ভারতের খেলোয়াড়দের হাত না মেলানোর পর পিসিবি পাইক্রফটের কাছে অভিযোগ জানালেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
এমনকি পাইক্রফটকে অপসারণ না করলে ১৭ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচ বর্জন করার হুমকিও দিয়েছে পিসিবি।
পাইক্রফট ২০০৯ সাল থেকে আইসিসি এলিট প্যানেলের সদস্য, ম্যাচ রেফারি হিসেবেও তিনি বেশ অভিজ্ঞ। আইসিসি এশিয়া কাপের জন্য পাইক্রফটের নাম সুপারিশ করেছে, পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিচি রিচার্ডসনের নামও প্রস্তাব করেছে। এলিট প্যানেলে বর্তমানে তিনজন অন্যান্য ম্যাচ রেফারি রয়েছেন- ভারতের জাভাগাল শ্রীনাথ, নিউজিল্যান্ডের জেফ ক্রো ও শ্রীলঙ্কার রঞ্জন মাধুগালে।
এছাড়া গতকাল রাতে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট পাইক্রফটের কাছে ভারতের ক্রিকেটারদের এমন আচরণের প্রতিবাদ জানায়। তারা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘দলের ম্যানেজার নাভিদ চিমা ভারতীয় খেলোয়াড়দের হাত না মেলানোর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানায়। এটি অখেলোয়াড়সূলভ এবং খেলার নীতি বিরোধী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। প্রতিবাদ হিসেবে আমরা আমাদের অধিনায়ককে ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে পাঠাইনি।’
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতার প্রভাবটা ভবিষ্যতে ক্রীড়াজগতেও যে প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে তা স্পষ্ট হল এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচে। সমর্থকরা আশা করেছিল রাজনৈতিক উত্তেজনা ছাপিয়ে মাঠের খেলায় সৌহার্দ্য বজায় রাখবে দুই দেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু ম্যাচে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।