এশিয়া কাপ
সুপার ফোরে খেলতে যে সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে

বড় কোনো টুর্নামেন্ট এলেই সমীকরণ মেলানোর অংক কষতে বসতে হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। এবারের এশিয়া কাপও তার ব্যতিক্রম হলো না। হংকংকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে কঠিন অবস্থায় পড়েছে বাংলাদেশ। তাই সুপার ফোরে খেলতে আবারও সমীকরণ মেলাতে হবে বাংলাদেশকে।
গতকাল অবশ্য এশিয়া কাপের প্রথম অঘটন প্রায় ঘটিয়েই ফেলেছিল হংকং। যদিও শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা হয়নি। সেটা হলে বাংলাদেশের যদি-কিন্তু হিসাবটা আরেকটু সহজ হতো।
গ্রুপ অব ডেথ হিসেবে পরিচিত ‘বি’ গ্রুপের বর্তমান পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী, দুই ম্যাচ খেলে দুই জয় নিয়ে সবার উপরে শ্রীলঙ্কা। এক ম্যাচ খেলে এক জয় নিয়ে টবিলের দুই নম্বরে আফগানিস্তান। দুই ম্যাচ খেলে এক জয়ে দুই ২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে এশিয়া কাপের যাত্রা শেষ হংকংয়ের।
এমন অবস্থায় বাংলাদেশের সামনে প্রধান সমীকরণ হলো আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়। এই ম্যাচ যদি আফগানদের হারাতে পারে লিটন দাস-তাসকিন আহমেদরা। তাহলেই কেবল রানরেট মেলানোর সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। তখন তাকিয়ে থাকতে হবে শেষ ম্যাচের দিকে।
‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা আর আফগানিস্তান। সেই ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কা জিতে যায়, তাহলে তিন জয়ে তাদের পয়েন্ট হবে ৬। সেক্ষেত্রে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার ফোর খেলবে শ্রীলঙ্কা। আর ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে তাদের সঙ্গী হবে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে এক জয়ে পয়েন্ট নিয়ে বাদ পড়বে আফগানিস্তান।
শেষ ম্যাচে আফগানিস্তান জিতলেও অবশ্য সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের সামনে সুপার ফোরে খেলার। তখন তিন দলের পয়েন্টই হবে সমান ৪ করে। বিবেচনা করা হবে, রানরেট। সেখানে অবশ্য বাকি দুই দলের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের রাননেট সবচেয়ে বেশি ৪.৭০০, শ্রীলঙ্কার ১.৫৪৬ আর বাংলাদেশের ঋণাত্মক ০.৬৫০।
তাই রানরেটের এই জটিল সমীকরণ মেলাতে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিতে হবে বাংলাদেশকে। আর শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে হবে আফগানিস্তানকে।
তবে কোনো সমীকরণই কাজে আসবে না, যদি আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় না পায় বাংলাদেশ। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে অবশ্য সেই আশা দেখিয়েছেন কোচ মুশতাক আহমেদ। সুপার ফোরে খেলার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
প্রসঙ্গত, দুই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ চার দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্ব। সেখানে সবাই সবার সঙ্গে একটি করে ম্যাচ খেলবে। এরপর সবার ওপরে থাকা দুই দল সরাসরি ফাইনাল খেলবে।