এশিয়া কাপে টিকে থাকার ম্যাচে বাংলাদেশের মাঝারি সংগ্রহ

শুরুটা হয়েছিল বিধ্বংসী। টি-টোয়েন্টিতে এমন বাংলাদেশকেই দেখতে চায় সবাই। আফগানিস্তানের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে রান রেট প্রায় ১০-এর ঘরে। কিন্তু এরপর খেই হারায় বাংলাদেশ। পুরোনো অভ্যাসে ধরে রাখতে পারেনি শুরুর মানসিকতা। গড়পড়তা ব্যাটিংয়ে আফগানদের বিপক্ষে ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৪ রান।
ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর ধারাবাহিকতা পরে আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝের ওভারে আফগান স্পিানারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তোলার গতি কমে আসে টাইগারদের। মিডল ওভারে আফগান দুই লেগস্পিনার রশিদ খান ও নুর আহমেদের ফাঁদে পা দিয়ে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা।
পাওয়ার প্লের পরের তিন ওভারে আফগান দুই স্পিনার রশিদ ও মোহাম্মদ নবীর নিয়ন্ত্রিত বোলিয়ে বাংলাদেশের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। অধিনায়ক লিটন দাস ও ওপেনার তামিম দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুইজনকে।
তবে বিপদটা ঘটে ১১তম ওভারে এসে। দলীয় ৮৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওভারের প্রথম বলেই লিটন দাসকে ফেরান নুর। বাংলাদেশ অধিনায়ককে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন এই আফগান লেগস্পিনার। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলে রিভিউ নেয় আফগানিস্তান। এতেই ১১ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরেন লিটন।
অধিনায়ক লিটন ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান তানজিদ তামিম। ২৮ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি করেছেন তামিম। এরপর আর থিতু হতে পারেননি। তাকেও ফিরিয়েছেন নুর।
১৩ তম ওভারের পঞ্চম বলে নুরকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে ইব্রাহিম জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তামিম। ৩১ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন এই ওপেনার।
এরপর রানের গতি আরো কমতে থাকে। দলীয় ১২১ রানে ফিরেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পরেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটার ১১ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন।
তাওহিদ হৃদয় কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৯তম ওভার ওমরজাইয়ের প্রথম বলে ডিপ এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ হয়েছেন ফিরেছেন হৃদয়। ২০ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৩৯ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।ডেথ ওভারে বাংলাদেশের আরও অধঃপতন হয়। শেষ ১২ বলে ৫ বল ডট দিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান ও জাকের আলী অনিক।
এর আগে সপ্তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে আফগানিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দেন রশিদ খান। আফগান অধিনায়ক রশিদ ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। ২৮ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ৩০ রান আসে সাইফের ব্যাট থেকে। হাত খুলে খেলতে শুরু করা সাইফকে বোল্ড করেন রশিদ। ৬৩ রানে শেষ হয় ওপেনিং জুটি।
আফগানদের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রশিদ ও নুর। ওমরজাই পান এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (তামিম ৫২, সাইফ ৩০, লিটন ৯, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, সোহান ১২* , জাকের ১২*; ফারুকি ৪-০- ৩৭- ০, ওমরজাই ৩-০-১৯-১, গজনফর ৩-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-২৬-২, নবী- ২-০-১৭-০, নুর- ৪-০-২৩-২)