ফাইনালের আগে ভারতের দুই তারকার চোট নিয়ে উদ্বেগ

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারত-শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি ছিল নিয়ম রক্ষার। এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনাল নিশ্চিত করা ভারতকে এদিন বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়েছে চোট নিয়ে। এই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের ক্র্যাম্প নিয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতের দুই বড় তারকা অভিষেক শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া। তাদের চোট নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিলেও ভারতের বোলিং কোচ মর্নে মর্কেল ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, বড় কোনো সমস্যা নেই।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে সুপার ওভারে হারিয়েছে ভারত। ম্যাচে দুদলই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে, যেখানে প্রথম বলেই ৩ রান নিয়ে জিতে যায় ভারত।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারে কুশল মেন্ডিসকে আউট করার পরই বাঁ পায়ে টান অনুভব করেন হার্দিক। এরপর তিনি মাঠ ছাড়েন এবং আর ফেরেননি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মর্কেল বলেন, ‘হার্দিকের ক্র্যাম্প হয়েছিল। আজ রাত ও আগামীকাল সকালে তার শারীরিক অবস্থা দেখা হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অভিষেক শর্মাও দ্বিতীয় ইনিংসের বেশিরভাগ সময় মাঠে ছিলেন না। নবম ওভারে দৌড়ানোর সময় ডান উরুতে হাত দেন তিনি। এরপর দশম ওভারে ক্রাম্প নিয়ে মাঠ ছাড়েন, এরপর তিনিও আর ফেরেননি। ক্র্যাম্প সারাতে দুজনকেই বাকি সময় বরফের সাহায্যে প্রাথমিক পরিচর্যা দেওয়া হয়।
এই ম্যাচটি সুপার ওভার পর্যন্ত গড়ানোয় খেলোয়াড়দের বিশ্রামের সময় আরও কমে গেছে। তাই শনিবার অনুশীলন বাতিল করেছে ভারত দল। মর্কেল বলেন, ‘এখন মূল বিষয়টা হলো বিশ্রাম। ছেলেরা এরই মধ্যে আইস বাথ নিচ্ছে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই রিকভারি শুরু হয়েছে। ঘুম, বিশ্রাম—এগুলোই সেরা উপায়।’
তিনি আরও জানান,‘শনিবার কোনো অনুশীলন থাকবে না। খেলোয়াড়দের জন্য আলাদা পুল সেশন ও মাসাজের ব্যবস্থা থাকবে। এরপর মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে রোববারের বড় ম্যাচের জন্য। এটা দ্রুত সময়ের ভেতর আবার খেলতে নামার ব্যাপার, তাই স্মার্টভাবে চলাই হবে সবচেয়ে জরুরি।’
এদিকে আর্শদীপ সিং ও হর্ষিত রানার পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেন মর্কেল। দুজনে মিলে ৮ ওভারে ১০০ রান দিলেও সুপার ওভারে আর্শদীপ দারুণভাবে বোলিং করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে মাঠে নামবে ভারত। তার আগে এই ভারতীয় দলের বোলিং কোচের মূল লক্ষ্য খেলোয়াড়দের ফিট রাখা ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।