দ্বিতীয় নদী পর্যটন উৎসব ৩ জানুয়ারি

দেশের দ্বিতীয় নদী পর্যটন উৎসব হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। এবারের আয়োজনে থাকছে ‘বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা-মেঘনা-পদ্মা’ নদী ভ্রমণ; ভ্রমণের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি লাইভ ইভেন্ট, যেমন—গেম শো, কমেডি শো, রিভারাইন বাংলাদেশ নিয়ে শিশুদের প্রতিযোগিতা, বাঙালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফেল ড্র এবং রিভারাইন বাংলাদেশ সম্পর্কে ডকুমেন্টারি শো। এই ইভেন্টের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব নদী পর্যটন উদ্যোগ নিশ্চিত করতে ইকোট্যুরিজম সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক নীতি অনুসরণ করা হবে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন এফসিটিসির পরিচালক ও বগুড়া ট্যুরিস্ট ক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাগর। নদী পর্যটন বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এফসিটিসির পরিচালকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্কুলে থাকাকালীন আমাদের প্রত্যেকেই একটা রচনা পড়েছি 'নৌকা ভ্রমণ' বা 'Journey by boat'। অর্থাৎ ছোটবেলাতেই আমাদের মাঝে নৌ পর্যটনের বীজ বপন করে দেওয়া হয়েছে। আর দেবে নাই-বা কেন? বাংলাদেশ যে নদীমাতৃক দেশ, তাই বাংলাদেশের নদনদীকে পর্যটন পণ্য হিসেবর গড়ে তুলতে শুধু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়, বরং পর্যটন উন্নয়নকে দায়বদ্ধতা ভেবে 'ফেস্টিভ অ্যান্ড কালচারাল ট্যুরিজম কনসোর্টিয়াম (এফসিটিসি)' কাজ করে যাচ্ছে। এর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইনসাইটা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, ট্রাভেলার্স হাব লিমিটেড, ওয়ান্ডার লাস্ট ট্যুরস, বগুড়া ট্যুরিস্ট ক্লাব, প্যারেন্টস এভিয়েশন লিমিটেড, ইকোট্রাভেলার্স ও চক্কর ট্যুরস; যারা পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজের ধারাবাহিকতায় নদী পর্যটনকে উৎসাহিত করতে আগামী ৩ জানুয়ারি, ২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো রিভার ট্যুরিজম ফেস্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা।
বক্তারা বলেন, আমাদের বিশ্বাস, এই আয়োজন একদিকে যেমন পর্যটকদের নৌ পর্যটনে উৎসাহিত করবে, অন্যদিকে নদী দখল ও নদীদূষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এই ইভেন্টের মূল লক্ষ্যটি হচ্ছে বাংলাদেশের নদীভিত্তিক ইকোট্যুরিজম প্রচার করা।
আমাদের এবারের আয়োজনে থাকছে ‘বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা-মেঘনা-পদ্মা’ নদী ভ্রমণ; ভ্রমণের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি লাইভ ইভেন্ট, যেমন—গেম শো, কমেডি শো, রিভারাইন বাংলাদেশ নিয়ে শিশুদের প্রতিযোগিতা, বাঙালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যাফেল ড্র এবং রিভারাইন বাংলাদেশ সম্পর্কে ডকুমেন্টারি শো। এই ইভেন্টের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব নদী পর্যটন উদ্যোগ নিশ্চিত করতে ইকোট্যুরিজম সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক নীতি অনুসরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিলাসবহুল এবং আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। ব্রেকফাস্ট, এক্সক্লুসিভ লাঞ্চ, সন্ধ্যা স্ন্যাকস এবং আনলিমিটেড চা/ কফি পরিবেশন করা হবে। আমরা আশা করছি একটি পুরো দিনের সীমাহীন বিনোদন উপলব্ধি থাকবে।
নদীভিত্তিক ইকোট্যুরিজম সম্পর্কিত হাই প্রোফাইল ইভেন্টে বহুপাক্ষিক অতিথি, বিশ্ববিদ্যালয়, বিপিসি, বিআইডাব্লিউটিএ, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে এই আয়োজনে বেশ কয়েকটি লাইভ ইভেন্ট থাকবে, যেমন—গেম শো, বাঙালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লাকি কুপন, রিভারাইন বাংলাদেশ সম্পর্কে ডকুমেন্টারি শো, কুইজ, ফটো ও পর্যটন পণ্য প্রদর্শনী।
অংশগ্রহণকারী অতিথিকে খাবার, ইভেন্ট কুপন ও র্যাফেল ড্রসহ সব সুবিধা ও পরিসেবার জন্য শুভেচ্ছামূল্য দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শূন্য থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না।