‘বাংলার পথে’র সঙ্গে ঘুরে আসুন সাজেক

শীতে সাজেক অন্য রকম এক রূপের ভাণ্ডার। শিশিরভেজা সকাল, কুয়াশাচ্ছন্ন চারপাশ, স্নিগ্ধ বিকেল আর হিমশীতল হাওয়া—এসবই উপভোগ্য, যদি সব আয়োজন থাকে নিশ্চিন্ত।
ভোরে ঘুম ভেঙেই দেখতে পাবেন, আপনার চারপাশ মেঘের সমুদ্র হয়ে আছে। এমন দৃশ্য কি আর ঘরে বসে উপভোগ করা যায়? তাই তো ছুটির একটি দিন পরিবার, বন্ধু কিংবা প্রিয়জন নিয়ে বাংলার পথের সঙ্গে ঘুরে আসুন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান সাজেকে।
(https://www.facebook.com/groups/1768245800154560/)
বাংলার পথের ট্যুর
- ভ্রমণ শুরু—১৯ ডিসেম্বর রাত ১১টা
- ভ্রমণ শেষ—২২ ডিসেম্বর সকাল ৬টা
- যাত্রার দিন—রাত পৌনে ১১টা। কলাবাগান অথবা আরামবাগ কাউন্টার থেকে বাসে করে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে যাত্রা।
খরচ
- জনপ্রতি মাত্র চার হাজার ৯৯৯ টাকা (এক কক্ষে চারজন শেয়ারিং)
- জনপ্রতি মাত্র পাঁচ হাজার ৪৯৯ টাকা (এক কক্ষে দুজন শেয়ারিং/কাপল)
ট্যুরে যা থাকছে
ইকো রিসোর্ট, নন-এসি বাস, ঐতিহ্যবাহী খাবার, বার-বি-কিউ, দর্শনীয় স্থান বেড়ানো, প্রবেশ ফি, রিজার্ভ জিপ ও গাইড।

যোগাযোগ
মোবাইল নম্বর : ০১৮১৯-২৮৭৩২৭ ও ০১৯৪৮-৪৫৪৫৪৫
বাংলার পথের ট্যুর প্যাকেজের সেবা
- ঢাকা-খাগড়াছড়ি-ঢাকা নন-এসি বাস টিকেট
- ইকো রিসোর্টে এক রাত যাপন
- ছয়বেলা মূল খাবার ও বিকেলের নাশতা
- একবেলা খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী খাবার
- দুদিনের জন্য সার্বক্ষণিক রিজার্ভ জিপ (১১ থেকে ১৩ জন শেয়ারিং)
- সার্বক্ষণিক গাইড
- সব প্রকার প্রবেশমূল্য
- উল্লেখিত সব দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ
দর্শনীয় স্থান

- কংলাকপাড়া (সাজেক থেকে আরেকটু উঁচুতে একটি পাড়া। ট্র্যাকিং করে যেতে হয়। অতিবৃষ্টিতে যাওয়া বন্ধ রাখতে হয়)
- স্টোন গার্ডেন (বাগান, যেখানে দেশের কয়েকটি জায়গার পাথর সংরক্ষিত রয়েছে)
- আলুটিলা গুহা (খাগড়াছড়িতে রহস্যময় পাথরের গুহা)
- তারেং (খাগড়াছড়ি শহরের ভিউ হাই হিল থেকে দেখার একটি হেলিপ্যাড)
- রিসাং ঝর্ণা (আলোচনা সাপেক্ষে, কিছুটা কষ্ট করে যেতে হয়)
খাবার মেন্যু
প্রথম দিন
- সকালের নাশতা : পরোটা, সবজি/ ডাল, ডিমের ওমলেট, মিনারেল ওয়াটার
- দুপুরের খাবার : সাদা ভাত, ভর্তা, সবজি, শুঁটকি, ব্যাম্বু চিকেন, ডাল, সালাদ, মিনারেল ওয়াটার
- বিকেলের নাশতা : পুরি, বিস্কুট অথবা কেক
- রাতের খাবার : আনলিমিটেড পরোটা, চিকেন বার-বি-কিউ, সফট ড্রিংকস, সালাদ, মিনারেল ওয়াটার
দ্বিতীয় দিন
- সকালের নাশতা : খিচুড়ি, ডিম ভুনা, চাটনি, মিনারেল ওয়াটার
- দুপুরের খাবার : সাদা ভাত, সবজি, ব্রয়লার মুরগির মাংস, ভর্তা, ডাল, মিনারেল ওয়াটার
- রাতের খাবার : সাদা ভাত, লাউ-চিংড়ি, শিমের সবজি/ মাশরুম, হাঁসের মাংস, ডাল, মিনারেল ওয়াটার
ভ্রমণ বিস্তারিত

- প্রথম দিন : সকালে খাগড়াছড়ি পৌঁছে রেস্টুরেন্টে ফ্রেশ হওয়া। তারপর সকালের নাশতা সেরে জিপে করে সাজেকের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পথে সম্ভব হলে হাজাছড়া ও দীঘিনালা বনবিহার দেখার চেষ্টা করা হবে। সাজেক পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খাওয়া। এরপর বিকেলের দিকে ঘুরতে বের হওয়া। হেলিপ্যাডে অবস্থান (সূর্যাস্ত দেখার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা)। রাতে সাজেকে নির্ধারিত রিসোর্টে রাত্রিযাপন।
- দ্বিতীয় দিন : সাজেকের সৌন্দর্য ভোরবেলায়, ভোরে কংলাক পাহাড় ঘুরতে যাওয়া। ফিরে এসে সকালের নাশতা গ্রহণ। তারপর কক্ষে গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে বের হওয়া। স্টোন গার্ডেন পরিদর্শন। খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়া, রেস্টুরেন্টে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খাওয়া। খাবার শেষে ঘুরতে বের হওয়া। ফিরে এসে বিরতিতে খাগড়াছড়ি শহরে নিজের মতো ঘুরে বেড়ানোর পর রাতের খাবার খাওয়া। পরে রাত ৯টার বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা।
দ্বিতীয় দিনের বিস্তারিত
- কংলাক পাহাড়
- স্টোন গার্ডেন
- আলুটিলা গুহা
- তারেং ভ্রমণ
- রিসাং ঝর্ণা (সময় এবং আলোচনা সাপেক্ষে)
- জেলা পরিষদ পার্ক/ঝুলন্ত ব্রিজ দেখা
বাস : শান্তি/ইকোনো পরিবহন নন-এসি ২/২ সিটেড হিনো বাস (আসন সাধারণত ‘এ’ থেকে ‘এফ’ সিরিয়ালের মধ্যেই হয়ে থাকে)
রিসোর্ট : মেঘাদ্রী ইকো রিসোর্ট (হাই কমোডে অ্যাটাচড ওয়াশরুম)
গ্রুপ ফ্রেশরুম : দরকার হলে নেওয়া হবে
জিপ : সাদা মাহেন্দ্র জিপ (১৩ আসনবিশিষ্ট)

টাকা জমা দেওয়ার বিবরণ
- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক (যেকোনো ব্রাঞ্চ থেকে টাকা জমা দেওয়া যাবে)
অ্যাকাউন্ট নম্বর : 101 101 110464
অ্যাকাউন্ট নাম : Shafiqul Islam Polash
- এ ছাড়া বিকাশের মাধ্যমে ০১৮১৯-২৮৭৩২৭ অথবা ০১৬৭১-৮২৪২৮২ নম্বরে টাকা জমা দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে অগ্রিম জমা দিতে হবে ২০৪০ টাকা, যা অফেরতযোগ্য।
যদি কেউ সরাসরি অফিসে এসে টাকা জমা দিতে চান, তাহলে চলে আসুন আমাদের অফিসে।
বাংলার পথে
পাভেল কটেজ, ৬৫৯ পশ্চিম কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬
যোগাযোগ : ০১৯৪৮-৪৫৪৫৪৫

বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন
বাংলার পথে : ০১৯৪৮-৪৫৪৫৪৫
ফারাহ : ০১৯১৫-৬০৬৪২৬
তন্ময় : ০১৯৭৯-১৭৪৩৩৩
পলাশ ইসলাম : ০১৮১৯-২৮৭৩২৭
জেনে রাখা ভালো
- টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।
- অতিবৃষ্টির কারণে ট্যুর প্রোগ্রাম প্ল্যানিংয়ে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।
- যদিও সব সেট করা থাকে, তবুও খাবার মেন্যু, ভেন্যু পরিস্থিতি ও সময়ের ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হতে পারে। তবে রিপ্লেস যা হবে, সেটা অবশ্যই আগের তুলনায় ভালো হবে।
- সাজেকে ইলেকট্রিসিটি নেই, তাই জেনারেটর ও অন্যান্যভাবে পাওয়ার পাবেন।
- কারণবশত ট্যুর প্ল্যান আগে-পিছে হতে পারে।