ইথিওপিয়ার নিম্নাঞ্চল—আফার, ওরোমিয়া, দক্ষিণী জাতি গোষ্ঠী ও সোমালিতে তিন বছরের উপর্যুপরি খরায় লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ।

সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে, গত তিন বছরে অনাবৃষ্টির ফলে পানির কুয়াগুলো শুকিয়ে গেছে, গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ফসল নষ্ট হয়ে গেছে; যা লাখ লাখ শিশু এবং তাদের পরিবারকে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ইউনিসেফ বলছে—আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ইথিওপিয়ার প্রায় ৬৮ লাখ মানুষের জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হবে।

আগামী এপ্রিলে প্রত্যাশিত বর্ষাকাল না এলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইউনিসেফ। রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ইথিওপিয়ায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি জিয়ানফ্রাঙ্কো রোটিগ্লিয়ানো বলেছেন, তীব্র খাদ্য ও পানি সংকটের প্রভাব এরই মধ্যে দৃশ্যমান। বিশেষ করে সোমালি ও ওরোমিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দুটি অঞ্চল।

ইউনিসেফ অনুমান করছে—সংঘাত, খরা এবং ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে চলতি বছরে ইথিওপিয়ার চার অঞ্চলের প্রায় সাড়ে আট লাখ শিশু মারাত্মকভাবে অপুষ্টিতে ভুগবে। রোটিগ্লিয়ানো বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে উন্নত করতে হবে, যাতে তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত ভর্তি করা যায় এবং সঠিক চিকিৎসা দেয়া যায়।

ইউনিসেফ আগামী ছয় মাসে চারটি নিম্নভূমি অঞ্চলের ২০ লাখের বেশি মানুষকে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানের জন্য প্রায় তিন কোটি ২০ কোটি মার্কিন ডলারের আবেদন করছে।