ইরানে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির কয়েকটি শহরে এ ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার খবর জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইরানে এ পর্যন্ত ২৮ জনের দেহে এ ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে কওম শহর থেকে। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেড়াতে যাওয়া ইরানি স্বামী-স্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ।

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, কওম শহর থেকে মানুষের চলাচলের মধ্য দিয়ে ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে তেহরান, বাবোল, আরাক, ইস্পাহান, রাস্ত, মারকাজ এবং অন্যান্য শহরে।

করোনাভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ইরানে এক ডজনের বেশি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্যদিকে গত শুক্রবার ইরানে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ভোটারদের অনেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক মাস্ক মুখে দিয়ে ভোট দিতে আসেন।

এদিকে করোনাভাইরাসে আজ রোববার পর্যন্ত চীনে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ৪০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৭ হাজার। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

চীনে আগের তুলনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমলেও দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি ও রোমানিয়ায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। রোগটির লক্ষণ অন্যদিকে মোড় নিয়েছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা, যা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

নতুন তথ্য দিচ্ছেন চীনের চিকিৎসকরা। ২০ বছর বয়সী এক তরুণী কোনো রকম লক্ষণ ছাড়াই উহান থেকে কমপক্ষে ৪০০ মাইল দূরের একটি শহরে যাওয়ার পর তাঁর দ্বারা পরিবারের পাঁচজন রোগটিতে আক্রান্ত হন। পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, রোগটি নতুন নতুন লক্ষণ নিয়ে অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে, যা আরো প্রাণঘাতী হতে পারে। রোগটি যাতে মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সেটিই এখন সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।