কলকাতায় ঐহিকের সাহিত্য আড্ডা

ভারতের কলকাতায় নিবিড় সাহিত্য পাঠের আয়োজন করে ঐহিক পত্রিকা। মহানগরীর সল্টলেকের এক অতিথি নিবাসে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত হয় ওই অনুষ্ঠান।
সল্টলেকের করুণাময়ীর স্বস্তিনীড়, ডি এল ৮৪ অতিথি নিবাসের কর্ণধার শিশির সামন্ত আর উত্তম মণ্ডলের আন্তরিক সহযোগিতায় ঐহিক পত্রিকা ওই আয়োজন করে। বিকেল ও সন্ধ্যা গড়ানোর আগেই একে একে উপস্থিত হতে থাকেন বাংলা ভাষার যশস্বী কবিরা।
সেই আড্ডায় এসেছিলেন, গৌতম বসু, একরাম আলি, সৈয়দ কওসর জামাল, সমরজিৎ সিংহ, সুব্রত সরকার, রাহুল পুরকায়স্থ, রাণা রায়চৌধুরী, গৌতম চৌধুরী, কালীকৃষ্ণ গুহ, বহতা অংশুমালী, শতাব্দী দাশ, অনিন্দ্য বর্মণ, ফরিদ ছিফাতুল্লাহ ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক কবি-অনুবাদক জুয়েল মাজহার এবং ঐহিক বাংলাদেশের সম্পাদক কবি মেঘ অদিতি ও ঐহিক সম্পাদক কথাসাহিত্যিক তমাল রায়।

অনাড়ম্বর নিমগ্ন এই পাঠ অনুষ্ঠানটি শুরু হয় কবি গৌতম বসুর কবিতা পাঠ দিয়ে। জুয়েল মাজহারের কবিতা পাঠ ছিল রীতিমতো আকর্ষণীয়। ঢাকাইয়া কুট্টি ভাষায় লিখিত 'চান্নিপশর রাইতের লৌড়' কবিতাটি পাঠ শেষে উপস্থিত সবাই প্রশংসা করেন। প্রতিটি কবিতা পাঠই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ দেখানো হয়। দর্শকরা সরাসরি প্রিয় কবি ও গল্পকারদের কাছে তাঁদের প্রিয় কবিতা ও গল্পপাঠের অনুরোধ জানান সোশ্যাল মিডিয়াতেই।
তিরিশে পা দেওয়া ঐহিক এরইমধ্যে দুই বাংলায় সাহিত্য সংস্কৃতি সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে এক উল্লেখযোগ্য নাম। সারা বছর ধরেই দুই বাংলাজুড়ে এমন ছোট বড় বিবিধ অনুষ্ঠান বই ও পত্রিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে তারা উদযাপন করবে তাদের ৩০তম বছরপূর্তি। একটি লিটল ম্যাগাজিনের ক্ষেত্রে যা এক মাইলস্টোন।

অনুষ্ঠানের শেষদিকে দেখা যায় অনেকেরই চোখে পানি। ষাটের উল্লেখযোগ্য কবি কালীকৃষ্ণ গুহ স্নেহের আলিঙ্গনে বুকে টেনেছেন জুয়েল মাজহারকে। গৌতম বসু তাঁর চিকিৎসকের সঙ্গে নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে রয়ে গেলেন শেষ পর্যন্ত। রানা রায়চৌধুরী ফিরবেন শ্রীরামপুর, তবু ফেরার তাড়া নেই।
যেকোনো সাহিত্য অনুষ্ঠানেই অগ্রজ কবিরা তাঁর নিজের কবিতা পড়ে বিদায় নেন, অন্যের কবিতা না শুনেই! এই সাহিত্য সন্ধ্যা বিরল ব্যতিক্রম সে দিক থেকেও। শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত কেউ উঠে যাননি। এমন কি সভা শেষের পরও রয়ে গেলেন অনেকেই।