কাবুল পতনের পর যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত

আফগানিস্তান থেকে গত আগস্টে সেনা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম তালেবানের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেছে। গত শনিবার কাতারের দোহায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
চরমপন্থি দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা, মার্কিন নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়া এবং মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমের মতো বিষয়গুলো নিয়ে মূলত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির।
বৈঠকের পর তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন, দুপক্ষই ফেব্রুয়ারি ২০২০ এর দোহা চুক্তি বহাল রাখতে সম্মত হয়েছে।
ওই চুক্তিতে তালেবান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিল, তারা জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদার মতো দলগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করার মত কোনো তৎপরতা চালাতে দেবে না।
মুত্তাকি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা তালেবানকে কোভিড-১৯ টিকা এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছতে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, তালেবান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী। কিন্তু কোনো দেশেরই আরেক দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিতে নাক গলানো উচিত না বলেও তিনি হুঁশিয়ার করে দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, জাতীয় স্বার্থে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যই এই বৈঠক। তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে নয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালেবান প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার পর শুক্রবার কুন্দুজের মসজিদে বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলার পরদিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান এ বৈঠকে বসেছে। শনিবারের এ বৈঠকের বিস্তারিত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনও কিছু বলেনি।