তুরস্কে অধিকার রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাস্তায় হাজারো নারী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/03/09/turkey-protest-2.jpg)
তুরস্কে নিজেদের অধিকার রক্ষার দাবিতে পুলিশি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাস্তায় জড়ো হয়েছেন কয়েক হাজার নারী।
গতকাল বুধবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী হত্যার প্রতিবাদে ইস্তানবুলের তাসকিম স্কোয়ারে ‘ফেমিনিস্ট নাইট মার্চ’ নামে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন তারা।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/03/09/turkey-protest-1-.jpg)
দেশটির প্রধান বিরোধী দল পিপলস পার্টি নারী দিবস উপলক্ষে এ প্রতিবাদের ডাক দেয়। নারীদের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ওপর আগে থেকেই দেশটিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল পুলিশের। এছাড়াও তাসকিম স্কোয়ারে জনসমাবেশ নিষিদ্ধও করে তারা। তবুও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বিরোধীরা।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/03/09/turkeey-protest-.jpg)
রাস্তায় এসময় আগে থেকেই অবস্থান নেয় পুলিশ। প্রতিবাদ ভেস্তে দিতে বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার শেল ছুড়ে মারে তারা। বেশ কয়েকজন নারীকে গ্রেপ্তারও করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পিপলস পার্টির দাবি ২০২১ সাল থেকে দেশটিতে ৬০০’র বেশি নারী পুরুষদের হাতে হত্যার শিকার হয়েছেন।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/03/09/turkey-protest-inner.jpg)
এরদোয়ানের ‘ইস্তানবুল কনভেনশন’ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তেই দেশটিতে নারীদের হত্যা ও নির্যাতন বেড়েছে বলেই অভিযোগ তাদের। গৃহনির্যাতনসহ নারীদের প্রতি যে কোনো ধরনের নির্যাতন, সহিংসতা রোধ ও নির্যাতকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যেই এই কনভেশন চালু করা হয়। তুরস্ক ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ ৩৭টি দেশ সেটি অনুমোদন করে। ২০২১ এর মার্চে এরদোয়ান এই কনভেশন বাতিলের ঘোষণা দেন।