নারীদের জন্য বোরকা বাধ্যতামূলক নয়, তবে হিজাব পরতে হবে : তালেবান

তালেবানের সরকার প্রতিষ্ঠার পর আফগানিস্তানে নারীদের বোরকা বাধ্যতামূলক করা হবে না, তবে প্রত্যেক নারীকে ঘরের বাইরে হিজাব পরতে হবে। স্কাই নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন কাতারের দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন। সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে এ কথা জানানো হয়।
সুহাইল শাহীন বলেন, ‘বোরকাই একমাত্র হিজাব নয়, বিভিন্ন ধরনের হিজাব রয়েছে। হিজাব একমাত্র বোরকায় সীমাবদ্ধ নয়।’

সুহাইল শাহীন আরও বলেন, ‘নারীরা প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে এর আগেই আমরা এসব নীতিমালার কথা জানিয়েছি।’
এ ছাড়া কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তালেবান। এ সময় কর্মস্থলে ও শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান কী হবে তা জানতে চাওয়া হয়। সশস্ত্র সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘শরিয়াহ আইন অনুযায়ী নারীদের অধিকার রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। তারাও আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, কোনো বৈষম্য এখানে হবে না।’
তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘ধর্মীয় নিয়ম মেনে চলার অধিকার আমাদের আছে। অন্য দেশের দৃষ্টিভঙ্গি, নিয়ম আর আইন অন্যরকম হতে পারে, কিন্তু নিজেদের মূল্যবোধের ভিত্তিতে নিজেদের নিয়মকানুন তৈরি করে নেওয়ার অধিকার আফগানিস্তানের আছে।’