পশ্চিমবঙ্গে আজও তুমুল বিক্ষোভ, বহু ট্রেনের যাত্রা বাতিল

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে আজ রোববার সকাল থেকেই ফের শুরু হয়েছে বিক্ষোভ অবরোধ। রাজ্যটির বিভিন্ন জেলায় রাস্তার ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ শুরু করেছে বিক্ষোভকারীরা। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম যোগাযোগকারী রাস্তা কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
এদিন সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় ভারতের দক্ষিণপূর্ব রেল, পূর্ব রেল ও উত্তর পূর্ব রেলের বহু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস, হাওড়া-মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, কলকাতা রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, হাওড়া-কাটিহার এক্সপ্রেস, কলকাতা-গুয়াহাটি গরিব রথ এক্সপ্রেস, আজিমগঞ্জ হাওড়া এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-পুরি দুরন্ত এক্সপ্রেস, কামরুপ এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপুত্র মেল। একইদিনে এতগুলো ট্রেন বাতিলের ফলে ভারত ভ্রমণে আসা বাংলাদেশিসহ ভিনদেশি পর্যটকরা বেশ অসুবিধায় পড়েছেন।
এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় রেল। শুক্রবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষ্ণপুর স্টেশনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এদিন বিকেলে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা পাঁচটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। যারমধ্যে তিনটি ছিল লোকাল ট্রেন এবং বাকি দুটি ছিল লালগোলা প্যাসেঞ্জার এবং হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। অবরোধ চলার কারণে ট্রেনগুলোতে যাত্রী না থাকায় সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর স্টেশনে এদিন বিকেলেই কয়েকশ বিক্ষোভকারী ডাউন মালদহ-কাটিহার লোকালে ব্যাপকভাবে হামলা চালায়। পাশাপাশি এদিন হাওড়ার সাকরাইল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর করা হয় স্টেশন চত্বর। এদিন সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বেলডাঙ্গাতেও। সেখানে রেলের ট্র্যাক উপড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ট্রেনের ওপর এই হামলার কারণেই ভারতীয় রেল একসঙ্গে এতগুলি ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।