পাঞ্জাব কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সিধু কারাগারে

ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি, সাবেক ক্রিকেটার নভোজিৎ সিং সিধুর স্থান হলো অবশেষে পাতিয়ালা জেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ৩৪ বছরের পুরনো এক মামলায় এক বছরের কারাদণ্ড দেন। এর এক দিন পর আজ শুক্রবার বিকেলে আত্মসমর্পণ করলে সিধুকে পাতিয়ালা জেলে পাঠানো হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ৫৮ বছর বয়সী পাঞ্জাব কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি আজ পাতিয়ালার একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিকেল ৪টার পর আত্মসমর্পণ করলে তাঁর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। এরপর পাতিয়ালা কারাগারে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে এক বছর থাকতে হবে।
গতকাল রায়ের পর এক টুইট বার্তায় সিধু লিখেছিলেন, ‘আমি আদালতে আত্মসমর্পণ করব।’

সিধুর রায়ের পর এনডিটিভির এক প্রতিবদন থেকে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে সিধু এবং তাঁর বন্ধু রুপিন্দর সিং-এর সঙ্গে পাতিয়ালার বাসিন্দা গুরনাম সিংয়ের ঝগড়া হয়। অভিযোগ আছে, তিনি ও তার বন্ধু গুরনামকে গাড়ি থেকে বের করে মারধর করেন। এর কয়েকদিন পর হাসপাতালে গুরনামের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার রায়ে বৃহস্পতিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক বছরের কারাদণ্ড হয় সিধুর।
যদিও মামলার পরের বছর ১৯৯৯ সালে পাতিয়ালার নিম্ন আদালত যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে সিধুকে খালাস দেন। পরে গুরনামের পরিবার হাইকোর্টে আপিল করলে ২০০৬ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করে সিধুর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন।
২০১৯ সালে সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন সিধু। ২০১৮ সালের শুরুতে সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সিধুর এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এর মধ্যে কংগ্রেসের প্রতীকে অমৃতসর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে মন্ত্রী হন সিধু। কিন্তু, সে বছরই সুপ্রিম কোর্টে ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে গুরনামের পরিবার। এরপর বৃহস্পতিবার মামলার রায়ে এক বছর কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত। তারপর আজ তাঁকে পাতিয়ালা কারাগারে পাঠানো হলো।