পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার মোটেও ধাপ্পাবাজি নয় : মস্কো
মস্কো নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের চার অঞ্চলে গণভোটের শেষ দিনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে ইউক্রেন এবং পশ্চিমা বিশ্বকে ফের সতর্কবার্তা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ।
রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকি যে মোটেই ধাপ্পাবাজি নয় তা মঙ্গলবার আরও স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ বর্তমানে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের উপ-চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে নিজেদের প্রতিরক্ষার অধিকার মস্কোর আছে। খবর রয়টার্সের।
মেদভেদেভ বলেন, হুমকি মোকাবেলায় রাশিয়াকে জবাব দিতে হবে, যদি তাদেরকে 'সীমার বাইরে' ঠেলে দেওয়া হয়। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, 'খুব বেশি আলোচনা ছাড়াই' রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে।
এর মাত্র কয়েক দিন আগেই মেদভেদেভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে নেওয়া নতুন এলাকাগুলো রক্ষায় যেকোনো অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। এর মধ্যে থাকতে পারে পারমাণবিক অস্ত্রও। এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও একই ধরনের হুমকি দিয়েছিলেন।
আর এখন বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে গণভোট শেষের এই সময়ে সেগুলোর সুরক্ষায় ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত রাখার বিষয়টি ইউক্রেন এবং পশ্চিমা বিশ্বকে জানান দিতেই মেদভেদেভের ওই নতুন সতর্কবার্তা।
তবে মেদভেদেভের এবারের সতর্কবার্তা আগেরবারের চেয়ে কিছুটা আলাদা। এবারে তিনি প্রথমবারের মতো পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। মেদভেদেভ বলেন, মস্কো এমনকী ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র হামলা চালালেও ন্যাটো ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না এবং পারমাণবিক যুদ্ধে জড়ানোর ঝুঁকি নেবেনা বলেই তিনি মনে করেন।
টেলিগ্রামে একটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এমনকী ওই পরিস্থিতিতেও ন্যাটো সরাসরি সংঘাতে জড়াবে না। তারা (ন্যাটো ও ইউরোপের গণবক্তারা) পারমাণবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে মরতে যাবে না।’
রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে রুশ সেনা ও মস্কোপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিজিয়া অঞ্চলে গণভোট শুরু হয়েছে গত শুক্রবার সকাল থেকে। এ ভোট চলে মঙ্গলবার পর্যন্ত। গণভোটের রায় পক্ষে এলে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ১৫ শতাংশ অংশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করার সুযোগ পাবে।