রাশিয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় নিহত ৩, তেল শোধনাগারে আগুন

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় পশ্চিম রাশিয়ায় অন্তত তিনজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। একই সময়ে মধ্য রাশিয়ার একটি তেল শোধনাগারে আঘাত হানার পর সেখানে আগুন লেগেছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২ আগস্ট) পেনজা অঞ্চলের গভর্নর ওলেগ মেলনিচেঙ্কো টেলিগ্রামে লিখেছেন, পেনজার একটি স্থাপনায় হামলায় একজন মহিলা নিহত ও আরও দুজন আহত হয়েছেন।
সামারা অঞ্চলের গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ ফেদোরিশ্চেভ টেলিগ্রামে পোস্ট করে জানিয়েছেন, সেখানে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আগুন লাগার কারণে একটি বাড়ির ভেতরে একজন বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, রোস্তভ অঞ্চলে ড্রোন হামলা ও একটি ভবনে আগুন লাগার পরে একটি শিল্প স্থাপনার একজন প্রহরী নিহত হয়েছেন বলে ভারপ্রাপ্ত রোস্তভ গভর্নর ইউরি স্লিউসার বলেছেন। তিনি টেলিগ্রামে পোস্ট করে জানান, সামরিক বাহিনী রাতে একটি বিশাল বিমান হামলা প্রতিহত করেছে, সাতটি জেলায় ড্রোন ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা শনিবার রাশিয়ার রিয়াজান তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে সেখানে আগুন লেগেছে।

টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে আনম্যানড সিস্টেমস ফোর্সেস আরও জানিয়েছে, তারা ভোরোনেজ অঞ্চলের আনানেফটেপ্রডুক্ট তেল সংরক্ষণাগারেও হামলা চালিয়েছে। বিবৃতিতে কীভাবে এই স্থাপনাগুলিতে হামলা করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি, তবে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দূরপাল্লার হামলাসহ ড্রোন যুদ্ধে দক্ষ।
২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের শুরুতে ইউক্রেন মস্কোর বিশাল দূরপাল্লার হামলা ক্ষমতার প্রতি তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে তারা তখন থেকে বহু শত কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম দূরপাল্লার কামিকাজে ড্রোনের একটি বহর তৈরি করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের দৈনিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলো রাতারাতি মোট ৩৩৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।