প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ইডেন গার্ডেনসে

আগামী ২২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে যাবেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের শীর্ষ পর্যায়ের চার কর্মকর্তাও সঙ্গে থাকবেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যাবেন কলকাতার মেয়র ববি হাকিম। বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনা সোজা যাবেন হোটেলে। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে তিনি দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ইডেনে চলে আসবেন।
জানা গেছে, ইডেনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ ঘর তৈরি হচ্ছে। ট্রাস্টি বোর্ডের ঘর নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
ইডেনে এসে প্রথমে ওই ঘরেই বসবেন হাসিনা। তারপর ভারত ও বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে ইডেনে ঘণ্টা বাজাবেন তিনি। সেখান থেকে বক্সে যাবেন। শেখ হাসিনার কারণে সেই বক্সও সাজানো হবে নতুন করে।
শনিবার বাংলাদেশ থেকে একটি বিশেষ নিরাপত্তা টিম ইডেনে পরিদর্শনে আসে। সঙ্গে ছিলেন কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের কর্মকর্তারাও। ইডেনে সিএবি কর্তাদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ওই বৈঠকে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়ে গেছেন তাঁরা। নির্দেশিকাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে প্রথমে যে ঘরে বসবেন, সেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাড়া আর কেউ থাকবেন না। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের তরফ থেকে ক্লাব হাউসের দোতলায় একটা হেল্পডেস্ক খোলা হবে। হেল্পডেস্কে থাকা লোকজন ঠিক করবেন শেখ হাসিনা যেখানে থাকবেন, তাঁর আশপাশে কারা থাকবেন।
ইডেনের লিফটে সামান্য সমস্যা রয়েছে। সেটা মেরামত করতে বলা হয়েছে। শেখ হাসিনার বক্সে হটলাইন ফ্যাসিলিটি রাখতে হবে। বক্সে এসির জায়গা বদল করতে হবে। হেঁশেলে সিসিটিভি থাকতে হবে। শেখ হাসিনার জন্য যা খাবার-দাবার হবে, তা তিনি খাওয়ার আগে অন্য কেউ পরীক্ষা করে দেখে নেবেন। বক্সে বসে কিছুক্ষণ খেলা দেখবেন শেখ হাসিনা। তারপর তিনি আবার হোটেলে ফিরে যেতে পারেন। ফের খেলা শেষ হওয়ার আধঘণ্টা আগে তিনি ইডেনে আসবেন।
খেলা শেষে রাতে থাকবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। সংবর্ধনার পর রাতের বিমানেই আবার বাংলাদেশ উড়ে যাবেন তিনি। জানা গেছে, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা এমন থাকবে, সেখানে সমস্ত সিএবি সদস্যরাও ক্লাবহাউস সংলগ্ন জায়গায় থাকতে পারবেন না। সিএবিকে বলে দেওয়া হয়েছে, কিছু কর্তা থাকতে পারবেন। তবে যাঁরা থাকবেন, সেটা আগে থেকে তালিকা করে জানিয়ে দিতে হবে। তার বাইরে একজন লোকও সেখানে থাকতে পারবেন না।