বেলারুশকে নিয়ে ১০ দিনের সামরিক মহড়ায় রাশিয়া
ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল রুশ সৈন্যের উপস্থিতি নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগের মধ্যেই বেলারুশের সঙ্গে ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে রাশিয়া।
মহড়া উপলক্ষ্যে রাশিয়া যে পরিমাণ সৈন্য পাঠিয়েছে, স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত বেলারুশে আর কখনোই এত রুশ সেনা মোতায়েন হয়নি, বলছে ন্যাটো। ইউক্রেন সংকটের মধ্যে এই মহড়া ‘উত্তেজনা আরও বাড়াবে’ বলে যুক্তরাষ্ট্রও মনে করছে।
ইউক্রেন সীমান্তে লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করলেও রাশিয়া শুরু থেকেই প্রতিবেশী দেশটিতে হামলার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই বলে জানিয়ে আসছে; তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশেরই ধারণা মস্কো যে কোনো মুহুর্তে ইউক্রেইনে হামলা চালাবে।
এই সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ইউরোপজুড়ে বৃহস্পতিবারও নানান কূটনৈতিক বৈঠক হবে বলে মনে করা হচ্ছে, জানিয়েছে বিবিসি।
৮ বছর আগে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ করায়ত্ব করে নেয়। এরপর থেকে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলেও তুমুল লড়াই চলছে, যা এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ওই এলাকার বিশাল অংশ এখন রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে।
বেলারুশে যে যৌথ মহড়া হতে যাচ্ছে তাতে প্রায় ৩০ হাজার রুশ সৈন্য অংশ নেবে বলে ধারণা করছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘদিনের মিত্র। ২০২০ সালে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বেলারুশে তুমুল বিক্ষোভের পর অনেক পশ্চিমা দেশ লুকাশেঙ্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাচনে তার জয়কে স্বীকৃতি দিতে রাজি না হলেও ক্রেমলিন পাশে দাঁড়ানোয় তিনি সে যাত্রা উৎরে যান।
ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র বেলারুশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়াকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, রাশিয়া ও বেলারুশকে ‘নজিরবিহীন হুমকি মোকাবেলা করতে হচ্ছে’।
তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির চিজভ বিবিসিকে বলেছেন, ইউক্রেন সংকট নিয়ে বিদ্যমান উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই সহায়ক হতে পারে বলে তার দেশ বিশ্বাস করে।