ব্রিটিশ দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করবেন না ঋষি সুনাক

ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ব্রিটিশ দূতাবাস স্থানান্তরের কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের। বৃহস্পতিবার ঋষি সুনাকের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর আ- জাজিরার।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ক্ষমতায় আসার পর ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে যুক্তরাজ্যের দূতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি সামনে এসেছিল। লিজ ট্রাস দ্রুত দূতাবাস স্থানান্তর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্রের কাছে দূতাবাস স্থানান্তরের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।’
এর আগে সেপ্টেম্বরে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস জানান, জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের পরিকল্পনা করছেন তিনি। তার এমন ঘোষণাকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ স্বাগত জানালেও ফিলিস্তিনিরা এর কড়া সমালোচনা করেন। এমনকি ইউরোপীয়ান দেশগুলোর নেতারাও লিজ ট্রাসের এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিলেন।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে ইসরায়েলিরা।
এদিকে, ২০১৮ সালে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক আপত্তি সত্ত্বেও জেরুজালেমে নিজেদের দূতাবাস স্থানান্তর করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পর কসোভো, হন্ডুরাস এবং গুয়েতেমালা জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস স্থানান্তর করেছে।
তবে দূতাবাস স্থানান্তরের এক বছর আগে ২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর ২০১৮ সালে সেখানে দূতাবাস সরিয়ে নেয় দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের পর অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও একই কাজ করেছিলেন। তবে চলতি বছরের অক্টোবরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া।