‘মমতা দিদি কি ফাঁসাচ্ছেন?’ প্রশ্ন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর
এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর ভাতিজা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। এরই মধ্যে তাঁর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিজেপির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ‘মমতা দিদি নিজেই এ বিষয়ে ফাঁসাচ্ছেন না তো?’
ভারতের লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেননি তৃণমূলের আট সাংসদ। তাঁরা লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাসের সময় অনুপস্থিত ছিলেন, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আব্বাস সিদ্দিকী। অনুপস্থিত তৃণমূল সাংসদদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি।
তৃণমূলের যে আট সাংসদ ভোটাভুটির সময় লোকসভায় হাজির ছিলেন না তাঁরা হলেন—শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহান, সাজদা আহমেদ, খলিলুর রহমান, চৌধুরী মোহন জাটুয়া ও দেব।
আব্বাস সিদ্দিকী রাজ্যসভায় তৃণমূলের ১৩ সাংসদের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের দিকে নাকি বিরোধীদের দিকে ভোট দিয়েছেন, তা স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন, তাঁর সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কিংবা নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) রাজ্যে কার্যকর হতে দেবেন না। কিন্তু পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর প্রশ্ন, যে আইন সংসদে পাস হয়ে গেছে, একটা সরকার তার বিরোধিতা করবে কী করে। হয় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে হবে, না হলে বিধানসভায় আইন পাস করাতে হবে। সংসদে পেশ হওয়া আইনের বিরুদ্ধাচরণ করতে পারে না কোনো রাজ্য সরকার।
নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে এয়ারপোর্ট ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী। তিনি হুঁশিয়ার করে এক মাস সময় দিয়েছেন। বলেছেন, লাখো মানুষ নিয়ে এয়ারপোর্ট ঘেরাও করবেন।