মানবাধিকার কমিশন প্রধানের চীন সফরের উদ্দেশ্য ‘তদন্ত নয়’

চীন জানিয়েছে যে, আগে থেকে নির্ধারিত এক সফরসূচির ‘আনুষ্ঠানিকতা’ হিসেবে দেশটিতে সফর করছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। চীনা কর্তৃপক্ষের বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, করোনা নিয়ন্ত্রণে বেইজিং যে পদক্ষেপ নিয়েছে, ব্যাচেলেটের সফরকালেও তা অব্যাহত থাকবে।
ছয় দিনের এক সফরে গত সোমবার চীনে গেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার কমিশনার। সফরকালে চীনের দক্ষিণাঞ্চেলের গুয়ানঝু ও জিনজিয়াং প্রদেশের উরুমকি ও কাশগর শহর পরিদর্শন করবেন তিনি।
ওই শহরগুলোতে চীনা সরকার ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীনের আচরণ বিশ্বব্যাপী ঘৃণা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সফর শুরুর আগে বেইজিং-ভিত্তিক কূটনীতিকদের ব্যাচেলেট বলেন, কোনো তদন্তের জন্য তিনি সফর করছেন না। তাঁর উদ্দেশ্য—মানবাধিকারের প্রচার, সুরক্ষা এবং মানবাধিকারের প্রতি সবাইকে সম্মান প্রদর্শনে সচেতন করা।
ব্যাচেলেটের অফিস সূত্রে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তাঁর সফরকালে আন্তর্জাতিক কোনো সাংবাদিককে চীনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে, আগামী ২৮ মে সফরের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করবেন মিশেল ব্যাচেলেট।
মানবাধিকার কমিশন প্রধানের সফরকে স্বাগত জানিয়ে গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জিনজিয়াং ইস্যুতে ‘নোংরা রাজনীতি’ করা হচ্ছে। অথচ ব্যাচেলেটের ব্যক্তিগত এ সফরের উদ্দেশ্য উভয় পক্ষের মধ্যে মানবাধিকার বিষয়ে সহযোগিতা ও ধারণা বিনিময়।

এর আগে সফরের সময়সূচি প্রকাশ করা হলে, এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। বিশ্বের ১৮টি দেশের ৪০ জন কূটনৈতিক সফরের বিরোধীতা করেন। তাঁরা মনে করেন—চীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে সফর করলে বাস্তব চিত্র বোঝা যাবে না। তাই এমন সফর মানবাধিকার কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস করবে এবং চীনে নির্যাতিতরা হতাশ হবে।