মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ১ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করছে ভারত

ভারতে পেঁয়াজের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়কে এক লাখ ২০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানান, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। পেঁয়াজের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ভারতে পেঁয়াজের দাম তীব্র গতিতে বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ কয়েকটি স্থানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্য সংস্থা এমএমটিসি পেঁয়াজ আমদানি করবে, পরে খোলা বাজারে ওই আমদানিকৃত পেঁয়াজ সরবরাহ ও বিতরণ করবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়কমন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান জানিয়েছেন, এমএমটিসিকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি এবং দেশীয় বাজারে তা বিতরণের জন্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। নাফেদ নামের সংস্থাকে সারা দেশে আমদানি করা পেঁয়াজ সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চার হাজার টন পেঁয়াজ কেনার টেন্ডার জমা করেছে এমএমটিসি।
গত সপ্তাহে ভারতে সরকারিভাবে বলা হয়েছিল, পেঁয়াজের জোগান বৃদ্ধির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। চলতি বছর ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে ২৬ শতাংশ। এ কারণে দেশব্যাপী দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। গত বছরের নভেম্বরে যেখানে ভারতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২৩ রুপি ছিল, সেখানে চলতি বছর তা দাম বেড়ে দেশব্যাপী গড়ে হয়েছে ৬০ রুপিরও বেশি।
ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দরদাতাদের ন্যূনতম ৫০০ টন পরিমাণের জন্য দরপত্র দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ ডিপোর ক্ষেত্রে দরপত্রের সর্বনিম্ন পরিমাণ হবে ২৫০ টন। প্রয়োজনীয় সরবরাহের ওপর নির্ভর করে ২৫০ টন ইউনিটগুলোর সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হবে। তাজা পেঁয়াজ যেকোনো দেশ থেকেই আমদানি করা যেতে পারে, তবে চালানটি ফাইটোস্যানিটারি ও ফিউমিগ্যাশন শর্ত মেনেই হতে হবে বলে জানানো হয়েছে।