হারানো শিশু পেতে ওয়েবসাইট
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/04/photo-1433426978.jpg)
ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার শিশু হারিয়ে যায়। বেশির ভাগেরই কোনো খোঁজ পরে আর পায় না শিশুর মা-বাবা কিংবা রাষ্ট্র। সন্তান হারানোর তালিকায় এগিয়ে আছেন দরিদ্র এবং শহরের বস্তি এলাকার মা-বাবারা। হারিয়ে যাওয়া শিশুদের ফিরে পেতে এক ওয়েবসাইট করেছে ভারত সরকার। যার কাজই হবে হারিয়ে যাওয়া নাম অন্তর্ভুক্ত করা আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো।
সরকার এ ওয়েবসাইটের নাম দিয়েছে ‘খোয়আ পায়আ ডট গভর্নমেন্ট’ অর্থাৎ ‘হারিয়েছি এবং পেয়েছি’। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সম্প্রতি এ ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের নারী এবং শিশু উন্নয়নমন্ত্রী মানেকা গান্ধী। তিনি বলেন, যাদের শিশু হারিয়ে গেছে সেসব বাবা ও মা এ ওয়েবসাইটে সন্তানের বিবরণ দিয়ে তালিকাভুক্ত করাবেন। ওয়েবসাইটের এ তথ্য পুলিশ এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাছে চলে যাবে।
মানেকা গান্ধী বলেন, ‘এমন একটি ওয়েবসাইটের কথা ভাবছিলাম, যেখানে মা-বাবারা নিজেদের হারিয়ে যাওয়া শিশুর বিবরণ তৎক্ষণাৎ জানাতে পারে। এরপর যদি আপনারা ওই শিশুর দেখা পেয়ে থাকেন তবে ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিন।’
মানেকা গান্ধী আরো বলেন, ‘ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার শিশু হারিয়ে যায়। কিন্তু ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ৭৩ হাজার ৫৯৭ শিশুর খোঁজ পাওয়া সম্ভব হয়েছে। ’
শিশুর অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীদের সঙ্গে ভারত সরকারও একটি বিষয়ে একমত। দরিদ্র এবং শহরের বস্তির শিশুরা বেশি হারিয়ে যায়। সরকার বলছে, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এসব শিশু শ্রম কিংবা যৌন ব্যবহারের পাচারের শিকার হয়। এদের অনেকে অপহৃত হয়।
ওয়েবসাইটের ব্যবহারের কারণে শিশুর হারিয়ে যাওয়ার খবরটা খুব সহজেই ছড়িয়ে যাবে। আর এজন্যই সামাজিক মাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে শিশুদের সন্ধানে।
এ বিষয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) শক্তি বাহিনীর সভাপতি রবি কান্ত বলেন, ‘ওই ওয়েবসাইটে যে কেবল শিক্ষিত মানুষরা ব্যবহার করবেন তা না। যারা পড়াশোনা জানে না তাদের সাহায্য করার জন্য সরকারের পাশাপাশি এনজিও কাজ করবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘হারিয়ে যাওয়া শিশুদের এলাকায় গিয়ে মা-বাবার কাছে ‘খোয়আ পায়আ ডটগভ’ নিয়ে হাজির হচ্ছেন এনজিওকর্মীরা। বুঝিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খোঁজ-খবর নেওয়া যাবে। এ সংকট নিরসনে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’