মিয়ানমারে বন্যায় জরুরি অবস্থা জারি

মিয়ানমারের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে বন্যায় অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট এ বন্যায় দেশটির বহু বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দেশটির জাতীয় একটি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরকারি মুখপাত্রের বরাতে এক খবরে এএফপি জানায়, বন্যা পরিস্থিতি অবনতির কারণে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান পানির স্তর, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বহু রাস্তাঘাট, রেলপথ, সেতু ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিপাতে এ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। খবরে আরো জানানো হয়, প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের একজন পরিচালক এএফপিকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রাকৃতিক এই দুর্যোগটিতে ২৭ জন মারা গেছে। এ ছাড়া এতে মান্দালয় অঞ্চলে আরো চারজন নিখোঁজ রয়েছে।’ এ ছাড়া দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার বন্যার ফলে আরো চারজন মারা গেছেন।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের ওই পরিচালক আরো জানান, বন্যায় প্রায় দেড় লাখ লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে অথবা তাঁদের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলের কালাই এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন অঞ্চলের রাজধানী সিতউই। দেশটির কর্তৃপক্ষ এ অঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
রাখাইন প্রদেশে এরই মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার লোক গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে। এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা মুসলিম। তিন বছর আগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর এরা উপকূলবর্তী অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল।