শপথ নিলেন অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতা পিটার টার্নবুল দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ক্যানবেরায় গভর্নর জেনারেল স্যার পিটার কসগ্রোভ তাঁকে শপথ পড়ান। ওই সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা ও লিবারেল পার্টির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল লিবারেল পার্টির মধ্যে এক ভোটাভুটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটকে পরাজিত করেন টার্নবুল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, টার্নবুল হলেন অস্ট্রেলিয়ার ২৯তম প্রধানমন্ত্রী।
শপথ নেওয়ার পরপরই অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে যান নতুন প্রধানমন্ত্রী পিটার টার্নবুল। তিনি পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। তবে ওই সময় দলের পূর্বের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবটকে দেখা যায়নি।
গতকাল দলের ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর প্রথম বক্তব্য দিয়েছিলেন টনি অ্যাবট। তিনি বলেছিলেন, ‘এটি কঠিন একটি দিন। কিন্তু খেলতে নামলে এর নিয়ম মানতেই হবে। আর নিজেকে সফল দাবি করে আজ সংবাদমাধ্যমকে অ্যাবট বলেন, সরে যাওয়া ‘কঠিন’। নতুন সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। তবে, দলের কোনো পদেই থাকবেন না কি রাজনীতি থেকে সরে যাবেন এমন কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি অ্যাবট।
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়া টনি অ্যাবটের জন্য আরো দুসংবাদ আছে। তাঁর সময়ে মন্ত্রী থাকা অনেককেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল মন্ত্রিসভায় বড় পরিবর্তন আনতে পারেন।
সোমবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টির মধ্যে এক ভোটাভুটিতে পিটার টার্নবুল নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ক্ষমতাসীন লিবারেল দলের ৯৮টি ভোটের মধ্যে টার্নবুল পেয়েছেন ৫৪টি, আর টনি অ্যাবট পেয়েছেন ৪৪। একই সময়ে দলের ভোটাভুটিতে দলের ডেপুটি হিসেবে নির্বাচিত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ। ১০০টি ভোটের মধ্যে তিনি পান ৭০। একই পদপ্রার্থী কেভিন অ্যান্ড্রুজ পান মাত্র ৩০ ভোট।
গত কয়েকদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লিবারেল দলের মধ্যে নেতৃত্বের টানাপড়েন চলছিল। পার্থের ক্যানিংয়ে পুনর্নির্বাচনের আগমুহূর্তে গতকাল রোববার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় ওই এলাকায় সরকারবিরোধী মনোভাব প্রকট দেখা যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে নিজ দলের মধ্যে টনি অ্যাবটের প্রতি বিরোধিতা শুরু হয়। দলের ভাবমূর্তি বাড়াতে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার, বিশেষত টার্নবুলকে প্রধানমন্ত্রিত্ব দেওয়ার দাবি ওঠে দলের মধ্যেই। এমন অবস্থায় ম্যালকম টার্নবুল গতকাল সোমবার বিকেলে অ্যাবটের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।