সুড়ঙ্গের ভেতর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি!
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/10/15/photo-1444921077.jpg)
দুর্গম পাহাড়ের ভেতর গভীর সুড়ঙ্গ। দারুণ আলোকিত সেই সুড়ঙ্গের ভেতরে রয়েছে পোশাকধারী সেনাসদস্য, আর থরে থরে সাজিয়ে রাখা ক্ষেপণাস্ত্র। প্রথম দর্শনে আপনার মনে হতে পারে, এটি বোধহয় জেমস বন্ড সিরিজের ছবির সেট।
কিন্তু এটি কোনো ছবির সেট নয়। এমন জায়গা সত্যিই রয়েছে। আর সেটি ইরানে। নিজেদের তৈরি নতুন নতুন সব ক্ষেপণাস্ত্র রাখার স্থান এটি। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
মাটির নিচের এই ঘাঁটির বিরল ছবিগুলো বুধবার প্রকাশ করেছে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশন গার্ডস করপস (আই্আরজিসি)। একটি পাহাড়ের নিচে প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা সুড়ঙ্গের ভেতর এসব মিসাইল রাখা রয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, লম্বা সুড়ঙ্গের রাস্তার পাশে ট্রাকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র।
ইরান নতুন প্রজন্মের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের কয়েকদিনের মাথায় এই ছবি প্রকাশিত হলো।
তবে এই পরীক্ষা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অধ্যাদেশ-১৯২৮ কে লঙ্ঘন করেছে বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। যেখানে শর্ত ছিল যে, ইরান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জড়িত হতে পারবে না।
জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, অবশ্য গত জুলাই মাসে ইরান, যুক্তরাষ্ট্রসহ পাঁচটি দেশের মধ্যে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন নয়।
এদিকে ইরানের সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেছেন, ইরান নতুন নতুন প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করছে। আগামী বছরের মধ্যে তরল ও কঠিন জ্বালানি দিয়ে চলে এমন নতুন ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে। সেগুলো বর্তমান মডেলকে প্রতিস্থাপন করবে। ইরানের সব সামরিক ঘাঁটিতে বিভিন্ন ক্ষমতার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।’
টেলিভিশনে যে মাটির নিচের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিকে দেখানো হয়েছে সেটি অসংখ্য ঘাঁটির মধ্যে মাত্র একটি বলেও মন্তব্য করেন আমির আলী।
এর আগে, এ মাসের শুরুতে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে হাজিজাদেহ জানান যে, সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটিই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে আছে।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের চুক্তির কিছুদিনের মধ্যেই মাটির নিচের এই ঘাঁটির ছবি প্রকাশ পেল।
চুক্তি অনুযায়ী, পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সুযোগ দিতে পরমাণু কর্মসূচিতে ইরানের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।