ভোট গ্রহণ চলছে মিয়ানমারে

প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। ২৫ বছরে এটাই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। প্রায় পাঁচ দশক ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে সামরিক জান্তা।
আজ রোববার শুরু হওয়া এ ভোটে সামরিক জান্তা সমর্থিত ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) অংশ নিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট পদে সু চির ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
গত শুক্রবার দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বলেছেন, তিনি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবেন। তিনি বলেন, ‘ফলাফলের ভিত্তিতে যে দল সরকার গঠন করবে, আমি মেনে নেব।’
প্রায় তিন কোটি ভোটার নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সোমবার সকালের আগে ফলাফলের ব্যাপারে কিছু ধারণা পাওয়া যাবে না।
২০১১ সালের সামরিক জান্তা সমর্থিত বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেয়। পার্লামেন্টের ৬৬৪ আসনের বিপরীতে ৯০টি রাজনৈতিক দল থেকে ছয় সহস্রাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সু চি বলেন, তাঁর দল নির্বাচনে জিতলে তিনি প্রেসিডেন্টের ওপরে থাকবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ পেতে হলে ৬৭ শতাংশ আসনে এনএলডিকে জয় পেতে হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, ভোরের আকাশ ফর্সা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা বয়সী নারী-পুরুষ ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মধ্যে জিন্স ও টি-শার্ট পরে তরুণীরা রয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী পোশাক লুঙ্গি পরে লাইনে দাঁড়িয়েছেন বয়স্করা। সবার হাতে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র। তাঁদের একটি বিষয়ে মিল রয়েছে আর তা হলো, কেউ আগে কখনো ভোট দিয়ে নতুন সরকার নির্বাচিত করেননি।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। এ জন্য নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে।
অং সান সু চি নির্বাচনে জালিয়াতি ও অনিয়ম নিয়ে এরই মধ্যে অভিযোগ করেছেন। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সামরিক বাহিনী তা উপেক্ষা করে ক্ষমতা দখল করে নেয়।