সৌদি নারীরা এখনো যেসব কাজ করতে পারেন না
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/09/photo-1449666902.jpg)
সৌদি আরবের নারীরা সম্প্রতি ভোট প্রদান ও নির্বাচনে প্রার্থিতার অধিকার পেয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই দেশটির পৌর নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন নারীরা। প্রার্থীও হয়েছেন অনেক নারী। সৌদি আরবের পৌর নির্বাচনে ২৮৪টি আসনে মোট প্রার্থী সাত হাজার, যাঁর মধ্যে নারী মাত্র ৯০০ জন।
ভোটাধিকার পেলেও একবিংশ শতাব্দীর সৌদি নারীরা এখনো অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এমন পাঁচটি বিষয় তুলে ধরা হলো।
নারী ভোটারের সংখ্যা কম
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮ বছরের অধিক সব সৌদি নাগরিকই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। সৌদি আরবের নারী ভোটার হয়েছেন মাত্র এক লাখ ৩১ হাজার। যেখানে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি। সৌদি আরবের মোট জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ। আর পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দেশটিতে নারীর ক্ষমতায়নে তেমন কোনো অগ্রগতি নয় বলেই মনে করেন অনেকে। স্থানীয় এলাকার সড়ক, বাগান ও আবর্জনা পরিষ্কারসহ কয়েকটি সাধারণ বিষয়ের তদারকি করার মধ্যেই পৌরসভার দায়িত্ব সীমাবদ্ধ।
পোশাকের অধিকার সীমিত
মুসলমান বিশ্বের মধ্যে নারীদের পোশাকের নীতিতে সবচেয়ে কঠোর সৌদি আরব। দেশটির নারীদের এমন পোশাক পরা বাধ্যতামূলক যেখানে, শুধু চোখ ও হাত দেখা যায়। এ ছাড়া অন্য কোনো অঙ্গ দেখা যায় এমন পোশাক পরা নিষিদ্ধ। অনেক নারী এই নিয়ম না মানায় দেশটির ধর্মীয় পুলিশের হাতে শাস্তি পেয়েছেন।
পুরুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ সীমিত
পরিবারের বাইরের কোনো পুরুষের সঙ্গে সৌদি নারীদের সাক্ষাতের অধিকার নেই্। কোনো উন্মুক্ত স্থানে গেলে সৌদি নারীদের সঙ্গে পরিবারের একজন পুরুষ সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক। পরিবারের বাইরের পুরুষ ও নারীদের মধ্যে সাক্ষাৎ যেন না হয় এ জন্য সৌদি আরবের বাড়িগুলোতে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা দরজা থাকে। বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্মক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গাড়ি চালনার অধিকার নেই সৌদি নারীর
সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার দেওয়া হয়নি। ১৯৯০ সাল থেকেই গাড়ি চালানোর অধিকারের জন্য আন্দোলন করছেন সৌদি নারীরা। নারীরা পরিবারের বাইরের পুরুষের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবে এমন অভিযোগে সৌদি সরকার এই অধিকার থেকে নারীদের বঞ্চিত রেখেছে।
ভ্রমণ, চিকিৎসা ও কাজের স্বাধীনতা নেই
পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া সৌদি আরবে কোনো নারী ভ্রমণ বা কোনো দাপ্তরিক কাজ করতে পারেন না। এমনকি কিছু চিকিৎসার ক্ষেত্রেও পরিবারের পুরুষের অনুমতি প্রয়োজন হয়। সৌদি আরবে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও এই পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।