ইরাকজুড়ে সহিংসতা, পার্লামেন্ট ভবন বিক্ষোভকারীদের দখলে
ইরাকে নতুন মন্ত্রিসভার অনুমোদনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই সহিংসতায় গত দুদিনে দেশজুড়ে নিহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। এ ছাড়া সৃষ্ট অচলাবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের একপর্যায়ে দেশটির পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নিয়েছে শিয়া বিক্ষোভকারীরা। তারা সবাই ইরাকি শিয়া আলেম মুক্তাদা আল সদরের অনুসারী বলে জানিয়েছে বিবিসি।
স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে গাড়িবোমা হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই বেসামরিক জনগণ বলে জানা গেছে। এদিকে গত শুক্রবার সারা দেশে সহিংসতায় মারা গেছেন মোট ৬৬ জন। এ ছাড়া দেশজুড়ে সহিংসতার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে সৃষ্ট অরাজকতা বন্ধে যখন পুলিশ ও সেনারা ব্যস্ত, এই সুযোগে বাগদাদের সংরক্ষিত গ্রিন জোনের প্রধান দরজা ভেঙে সদরের অনুসারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকে তারা লুটপাট শুরু করে।
আল-জাজিরা জানায়, এর আগে শনিবার সকালে তারা টাইগ্রিস নদীর সেতু পার হয়ে বিক্ষোভ করতে করতে সরকারি ভবনগুলোর দিকে আসতে থাকে। ‘কাপুরুষরা পালিয়ে গেছে’ বলে স্লোগান দিতে থাকে তারা। পার্লামেন্ট ভবনের কিছু অংশ ভেঙে ফেলে তারা। এ সময় অনেকে বিক্ষুব্ধদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানাতে থাকে।
নতুন একটি মন্ত্রিসভা গঠনে ইরাকের সংসদ সদস্যরা ব্যর্থ হওয়াতেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ইরাকের শিয়ারা। মুক্তাদার আল সদর চান দলীয় মন্ত্রীদের স্থলে নির্দলীয় টেকনোক্রেট মন্ত্রীদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি তাঁর মন্ত্রিসভা গঠন করুক। আবাদিও তাই চান। তবে এ ব্যাপারে জটিলতা তৈরি হয়েছে সাংসদদের ভোটকে কেন্দ্র করে। তাঁদের অনেকেই আবাদির সঙ্গে একমত নন।