অজ্ঞাতবাস থেকে ফিরে ব্যস্ত রাহুল গান্ধী
দীর্ঘ ৫৬ দিন ছুটি কাটিয়ে ভারতের কংগ্রেস দলের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন। এসেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভূমি অধিগ্রহণ অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে এক কৃষক সমাবেশে অংশ নেবেন তিনি। আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় এ সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। রাহুলের অজ্ঞাতবাসের সময়কালেই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের বড় হাতিয়ার হয়েছে ভূমি বিল।
৪৪ বছর বয়সী রাহুল গান্ধী গতকাল রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ব্যাংকক থেকে আসা থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান থেকে দিল্লিতে নেমে সোজা চলে যান তুঘলক রোডে তাঁর বাসভবনে। সেখানে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী ও বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। তাঁর ঘরে ফেরার খবরে বাসভবনের সামনে ভিড় জমায় গণমাধ্যকর্মীসহ বহু মানুষ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশন চলাকালে ছুটিতে চলে যান রাহুল গান্ধী।
বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, অন্য কোনো স্থানে সফরের আগে শেষ চার সপ্তাহ রাহুল মিয়ানমারের মেডিটেশন (ধ্যান) ক্যাম্পে ছিলেন।
দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বলেন, সোনিয়া গান্ধীই দলের নেতৃত্ব দেবেন। অন্যান্য কংগ্রেস নেতাও তাঁর এই মতের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন। দলের উচ্চ পর্যায়ের কয়েকটি সূত্র জানায়, রাহুল আগামী দুদিন কয়েকটি কৃষক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
কংগ্রেসে রাহুলের সম্ভাব্য নেতৃত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠলেও এসব সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই বছরের শেষের দিকে দলের সভাপতি হিসেবে রাহুলকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এদিকে, রাহুল গান্ধী ফিরে আসায় প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি মুখপাত্র সম্বিৎ পত্র বলেন, রাজনীতিতে পার্টটাইম বলে কিছু নেই, এটি একটি ফুলটাইম জব। তবে তিনি বলেন, কর্তব্য থেকে দূরে থাকার কারণে রাহুল গান্ধীর লজ্জিত হওয়ার কিছু নেই।
বাজেট অধিবেশনের সময়ে রাহুলের হঠাৎ অজ্ঞাতবাসে যাওয়া নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কংগ্রেস সব সময় বলে আসছে পার্টির বর্তমান বিপর্যয়কর পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে রাহুল গান্ধী কিছু সময় নিজের মতো করে কাটাতে চান।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাহুল আপাতত ছুটিতে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কংগ্রেসকে।