ভাষণে সিংহাসন ছাড়ার ইঙ্গিত জাপানি সম্রাটের

জাপানের সিংহাসন থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সম্রাট আকিহিতো। স্থানীয় সময় আজ রোববার সম্প্রচার করা এক টেলিভিশন ভাষণে স্বাস্থ্য ও বয়সের কথা উল্লেখ করে এই ইঙ্গিত দেন তিনি।
টেলিভিশন ভাষণে সম্রাট আকিহিতো বলেন, বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জাপানের ইতিহাসে ৮২ বছর বয়সী জাপানের সম্রাট আকিহিতোর জন্য এটিই দ্বিতীয় টেলিভিশন ভাষণ। এর আগে ২০১১ সালে সুনামি ও ভূমিকম্পের পর টেলিভিশনে প্রথম ভাষণ দেন এই সম্রাট।
বিবিসি জানায়, সম্রাট আকিহিতো তাঁর ভাষণে সিংহাসন ছাড়ার দিকে ইঙ্গিত দিলেও সরাসরি ‘সিংহাসন ত্যাগ’ শব্দটি ব্যবহার করেননি।
এর আগে বিভিন্ন প্রতিবেদনে আশা করা হয়েছিল সম্রাট আকিহিতো ‘সিংহাসন ত্যাগ’ শব্দটি ব্যবহার করবেন না। জাপানের আইনে সম্রাটের পদত্যাগের কোনো বিধান নেই। তাই আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। আর জাপানের আইন অনুযায়ী, সম্রাটকে রাজনৈতিক কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। জাপানের সম্রাট ভিডিওবার্তায় সিংহাসন ত্যাগের কথা বললে, অনেকে একে রাজনীতিতে সম্রাটের হস্তক্ষেপ বলে ধারণা করতে পারে।
গত মাসে জাপানের সরকারি সংবাদমাধ্যম এনএইচকের এক প্রতিবেদনে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সম্রাটের সিংহাসন ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানানো হয়। আধুনিক জাপানের ইতিহাসে কোনো সম্রাটের জাপানের সিংহাসন ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা এটিই প্রথম।
পূর্বে রেকর্ডকৃত ১০ মিনিটের ভাষণে সম্রাট আকিহিতো বলেন, কোনো বিরতি ছাড়াই সম্রাটের দায়িত্ব অব্যাহতভাবে পালিত হবে।
এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮২ বছর বয়সী সম্রাট আকিহিতোর হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে তাঁর।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, সম্রাটের ভাষণ গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে। ভাষণ অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হবে।
জাপানের সিংহাসনের অন্যতম দাবিদার ৫৬ বছর বয়সী যুবরাজ নারুহিতো।