চীনে গিয়ে কতটা ‘গঠনমূলক’ আলোচনা ব্লিঙ্কেনের?
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/06/19/maarkin-prraassttrmntrii-baitthk.jpg)
দুই দিনের চীন সফরে আসা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে রোববার (১৮ জুন) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের বৈঠক হয়েছে। এটি প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন কূটনৈতিক কর্মকর্তার প্রথম চীন সফর।
বৈঠক শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, খোলাখুলি, বাস্তবসম্মত ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।
গুপ্তচর-বেলুনকাণ্ডের পাঁচ মাস পর চীন সফর করলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বেলুনকাণ্ডের জেরে তিনি আগের সফর বাতিল করেছিলেন।
চীন সফরকালে ব্লিঙ্কেন চীনের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করবেন, আলোচনা করবেন। তবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠক হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। গত শুক্রবার শি জিনপিং দিনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন মাইক্রোসফটের কর্তা বিল গেটসের সঙ্গে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে যেমন বড় তালিকা আছে, তেমনই বিরোধের তালিকাটাও কম বড় নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় ব্লিঙ্কেন কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন এবং বলেছেন, আলোচনার প্রক্রিয়া কখনো বন্ধ করা উচিত হবে না। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ব্লিঙ্কেনের এটাই প্রথম চীন সফর।
সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়ে দুই দেশের বিরোধ সামনে এসেছে। সেমিকন্ডাক্টর শিল্প নিয়েও দুই দেশের প্রতিযোগিতা তুঙ্গে উঠেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সিসিটিভি জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরুর পর কূটনৈতিক দিক থেকে এতটা খারাপ অবস্থা কখনো হয়নি। এর ফলে দুই দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক স্বার্থ রক্ষা করা যাচ্ছে না, আন্তর্জাতিক দুনিয়ার প্রত্যাশাও পূরণ হচ্ছে না।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী হুয়া চুনইং টুইট করে বলেছেন, ‘আশা করছি, এই আলোচনার ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আবার পুরোনো জায়গায় ফিরবে। বালিতে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট এই আশাই করেছিলেন।’
চীন যাওয়ার আগে ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। তিনি চান, তীব্র প্রতিযোগিতার উপযুক্ত কূটনীতি নিয়ে চলতে। না হলে তীব্র প্রতিযোগিতা অনেক সময়ই বিরোধের জন্ম দেয়।
তবে আলোচনার পর ব্লিঙ্কেন বা কিন কেউই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি।