গাজায় সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানোর আশঙ্কায় ডব্লিউএইচওর উদ্বেগ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় মারাত্মক হারে সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গণহারে লোকজনের বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনায়, কিছু কিছু পরিবারের বহুবার সহায়সম্বল হারানোর বিষয়ে এবং এসব লোকের জনাকীর্ণ স্বাস্থ্য সুবিধাকেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমার সহকর্মীদের পাশাপাশি আমি বাড়তে থাকা হারে সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার হুমকির মুখে ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন।’ খবর এএফপির।
তেদরোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস তার বার্তায় বলেন, মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বসবাসরত লোকজন ব্যাপক হারে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
ডব্লিউএইচওর প্রধান জানান, এক লাখ ৮০ হাজার লোক শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছে। আর প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, যাদের অর্ধেকেরই বেশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও জানান, ৫৫ হাজার ৪০০ জনের শরীরে উকুন ও চর্মরোগ ধরা পড়েছে, পাঁচ হাজার ৩৩০ জনের জলবসন্ত হয়েছে, ৪২ হাজার ৭০০ জনের চামড়ায় বিভিন্ন ধরনের র্যাশ ওঠেছে, আর মারাত্মক চর্মরোগে ভুগছেন চার হাজার ৭২২ জন।
এ বিষয়ে গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, ‘সংক্রামক ব্যাধি শনাক্ত করতে ও দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করছে ডব্লিউএইচও এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলো। এ ছাড়া হেপাটাইটিসের মতো রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিরাপদ পানি, খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে অভিহিত করে ইসরায়েল তাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। দেশটি গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত এক হাজার ১৪০ জন নাগরিককে হত্যার প্রতিশোধ নিতে স্থল অভিযান ও বিমান হামলার মাধ্যমে গাজা উপত্যকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ২১ হাজার ৩২০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।