ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় বাংলাদেশের সমর্থন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/01/15/gaajaa-thaamb.jpg)
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের যে বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে তা অবসানের লক্ষ্যে সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধসহ দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া খুবই প্রয়োজন।’
সম্প্রতি ইসরায়েলের পক্ষে জার্মানির সমর্থন দেওয়ার বিষয়টিতে নামিবিয়ার তীব্র সমালোচনার মুখে বেশকিছু দেশ জানায় যে, তারা জাতীসংঘের শীর্ষ আদালতের এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবে। গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবস্থান নেওয়া এসব দেশের পাশে নতুন করে যুক্ত হলো বাংলাদেশের নাম। খবর আলজাজিরার।
এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) ওয়াসেল আবু ইউসেফ বলেছেন, গাজা উপত্যকার যুদ্ধের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিম তীরেও বিস্তৃতি ঘটেছে সহিংসতার।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/01/15/gaajaa-inaar.jpg)
গাজা উপত্যকায় গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান প্যালটেল জানিয়েছে, যোগাযোগ চালু করার চেষ্টার সময় তাদের দুই কর্মচারীকে হত্যা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গতকাল রোববার (১৪ জানুয়ারি) গাজা যুদ্ধের ১০০তম দিনে ইসরায়েলি নৃসংশতার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সারাবিশ্বে হয়েছে বিক্ষোভ। পর্তুগাল থেকে শুরু করে তুরস্ক, যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে পাকিস্তানেও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় হাজারো জনতা।
তবে গাজার খান ইউনিসে গতকাল রাতেও শোনা গেছে গোলাগুলির শব্দ। সেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি ড্রোন হামলাও চালানো হয় সেখানে।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/01/15/gaajaa-inaar-2.jpg)
অধিকৃত পশ্চিম তীরে গতকাল রোববার সহিংস হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রামাল্লাহর কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করলে দুই কিশোর নিহত হয়। এছাড়া হেবরনের উত্তরে ও এইন আল সুলতান শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে হত্যা করা বাকীদের। এছাড়া পশ্চিম তীর জুড়ে চলছে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার গ্রেপ্তার অভিযান।