থাইল্যান্ডে হাতির সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে তরুণীর মৃত্যু
থাইল্যান্ডে হাতির আক্রমণে এক স্প্যানিশ তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় একটি এলিফ্যান্ট কেয়ার সেন্টারে হাতির সঙ্গে গোসল করার সময় ওই তরুণীকে হাতি আক্রমণ করে। পর্যটকদের ভিড়ে হাতিটি আতঙ্কিত অবস্থায় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, কো ইয়াও নামের এলিফ্যান্ট কেয়ার সেন্টারে ব্লাংকা ওজাঙ্গুরেন গার্সিয়া হাতির আঘাতে মারা যায়। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব নাভারার আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী। ছুটি কাটাতে প্রেমিকের সঙ্গে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন গার্সিয়া।
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস জানান, ব্যাংককে অবস্থিত স্প্যানিশ দূতাবাস গার্সিয়ার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল পার্কস ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে চার হাজারেরও বেশি বন্য হাতি রয়েছে এবং প্রায় সমানসংখ্যক হাতি বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কো ইয়াও সেন্টারে ‘এলিফ্যান্ট কেয়ার’ নামের বিশেষ প্যাকেজ রয়েছে, যার মাধ্যমে পর্যটকরা হাতিদের জন্য খাবার প্রস্তুত করা, খাওয়ানো, তাদের সঙ্গে গোসল ও হাঁটার সুযোগ পান। এসব প্যাকেজের মূল্য এক হাজার ৯০০ থেকে দুই হাজার ৯০০ বাথ।
এদিকে প্রাণীদের অধিকার বিষয়ক কর্মীরা হাতিকে গোসল করানোর এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, এটি হাতিদের প্রাকৃতিক পরিচ্ছন্নতার আচরণ ব্যাহত করে এবং অপ্রয়োজনীয় চাপ ও আঘাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড এনিম্যাল প্রোটেকশন বহু বছর ধরে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশকে বন্দি অবস্থায় হাতিদের প্রজনন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। তাদের মতে, এশিয়ার পর্যটন খাতে ব্যবহৃত ৬০ শতাংশেরও বেশি হাতি ‘চরম অপ্রতুল’ অবস্থায় বাস করছে।
দাতব্য সংস্থাটি আরও বলেছে, এই বুদ্ধিমান ও সামাজিকভাবে জটিল প্রাণিগুলো বন্দিদশায় গভীরভাবে ভোগান্তির শিকার হয়। কারণ তাদের প্রাকৃতিক সামাজিক কাঠামো কৃত্রিমভাবে পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব নয়।