ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মার্কিন আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার মামলা
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মার্কিন আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। শীর্ষ এ ধনকুবের টুইটারের শেয়ার কেনার বিষয়ে সময়মতো প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করেননি এবং এর ফলে অন্য শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে তথ্য প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ওয়াশিংটন ডিসির এক ফেডারেল আদালতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এই মামলা করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক ৫ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের বিষয়টি যথাসময়ে প্রকাশ করেননি। ফলে তিনি অন্তত ১৫০ মিলিয়ন ডলার কম দামে শেয়ার কিনতে পেরেছেন। এর আগে তিনি ৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছিলেন তিনি। আইন অনুযায়ী, এই ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য জনসাধারণকে জানানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু, মাস্ক ১১ দিন পর এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। মাস্ক ২০২২ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে সেটির নাম পরিবর্তন করে ‘এক্স’ রাখেন।
মাস্কের আইনজীবী অ্যালেক্স স্পাইরো বলেছেন, ‘এসইসির মামলার কোনো মজবুত ভিত্তি নেই। মাস্ক কোনো ভুল করেননি, আর সবাই এই মামলাকে প্রহসন হিসেবেই দেখছে।’
মার্কিন আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি এর আগেও ২০২১ সালে মাস্কের টুইটার কেনার বিষয়ে তদন্ত করেছিল। তখন মাস্ক ও তাঁর ভাই কিমবাল মাস্কের বিরুদ্ধে টেসলার শেয়ার বিক্রির সময় লেনদেনের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন ইলন মাস্ক। তিনি ট্রাম্পের নির্বাচনের প্রচারে কয়েক মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন মাস্ক। ট্রাম্প এক ভাষণে বলেছেন, পুনর্নির্বাচিত হলে তিনি মাস্ককে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ নামক একটি পরামর্শক দলের প্রধান করবেন।