ইসরায়েলি অভিযানে ‘প্রায় বসবাসের অযোগ্য’ হয়ে পড়েছে জেনিন
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে জেনিন শরণার্থী শিবির ‘প্রায় বসবাসের অযোগ্য’ হয়ে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে সেখানে দখলদার ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানকার প্রধান হাসপাতাল থেকে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
১৫ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা আনন্দে মেতে ওঠে। তারা মনে করেছিল, অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ অবশেষে শেষ হবে।
তবে, পশ্চিম তীর জুড়ে ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় সহিংসতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যাকে স্থানীয় পর্যবেক্ষক এবং বিশ্লেষকরা আনুষ্ঠানিকভাবে আরও ভূমি দখলের একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এরই মধ্যে জেনিনে দখলদার ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানকার প্রধান হাসপাতাল থেকে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের আকস্মিক বৃদ্ধি অধিকৃত ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিদের ভীত করে তুলেছে। তারা মনে করছেন, গাজায় তাদের স্বদেশি ভাই-বোনদের ওপরে যে ধরনের সহিংসতা চালানো হচ্ছে, তারাও এর মুখোমুখি হতে পারেন।
এদিকে, জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) ৮০৮টি ত্রাণের ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। ত্রাণ গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করে বলেছে, জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র ওপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা এই প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
অন্যদিকে, ইয়েমেনের হুতিরা গ্যালাক্সি লিডারের ২৫ জন ক্রু সদস্যকে মুক্তি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৭ হাজার ১০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ১১ হাজার ১৪৭ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বর্বর এ বাহিনীর নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।