গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৮৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক (প্রায় ৭০ জন) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে খাদ্য সহায়তা চাইতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৫ হাজার ৪৩২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও এক লাখ ২৮ হাজার ৯২৩ জন।
জাতিসংঘ ও মানবিক সংস্থাগুলো বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও গাজার খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলো বেসামরিক নাগরিকদের জন্য চরম বিপজ্জনক স্থানে পরিণত হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। এসব কেন্দ্রকে সমালোচকরা ‘মানব কসাইখানা’ হিসেবে নিন্দা করছেন।
রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) মতো আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোও এই হামলাগুলোর খবর নিশ্চিত করেছে, যেখানে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করার সময় হামলার শিকার হচ্ছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। সেই হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি লোককে বন্দী করা হয়েছিল। ইসরায়েল দাবি করে যে, তাদের অভিযান হামাসকে নির্মূল করার জন্য ও জিম্মিদের উদ্ধারের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

তবে, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা এবং মানবিক পরিস্থিতির চরম অবনতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে উপত্যকার বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানকার ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং তীব্র খাদ্য ও পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। চলমান এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে।