গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন নেতানিয়াহু
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/02/netanyahu.jpg)
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী চতুর্থ দফা জিম্মি-বন্দী বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আগামীকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানায় বার্তা সংস্থা এএফপি।
নেতানিয়াহু আজ রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে কথা বলেছেন ও ওয়াশিংটনে তাদের সাক্ষাতের মাধ্যমে আলোচনা শুরুর করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যস্থতাকারী ও প্রতিনিধিদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। ৪২ দিনের প্রথম পর্যায়ের আলোচনা আগামী মাসে শেষ হবে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার এবং মিশরের সঙ্গে কথা বলবেন উইটকফ।
প্রথম পর্যায়ে, হামাস শনিবার ইসরায়েলের হেফাজত থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে তিনজন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়।
জিম্মি ওফের কালদেরন ও ইয়ার্ডেন বিবাসকে হামাস যোদ্ধারা মঞ্চে কুচকাওয়াজ করে দক্ষিণ গাজা শহর খান ইউনিসে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে। মার্কিন-ইসরাইলি কিথ সিগেলকে উত্তরে গাজা শহরের বন্দরে একই ধরণের অনুষ্ঠান করে মুক্তি দেওয়া হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী পরে নিশ্চিত করেছে, তিনজনই ইসরায়েলে ফিরে এসেছেন।
ইসরাইলি প্রচারণা গোষ্ঠী হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম তাদের মুক্তিকে ‘অন্ধকারে আলোর রশ্মি’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।
১৫ মাসেরও বেশি সময় জিম্মিদের আটক রাখার পর, গাজার জঙ্গিরা ১৯ জানুয়ারি ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুসারে তাদের মুক্তি দিতে শুরু করে।
হামাস ও তার মিত্র ইসলামিক জিহাদ এখন পর্যন্ত ১৮ জন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরাইলের শতশত ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু।
শনিবার মোট ১৮৩ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যাদের একজন মিশরীয় ছাড়া সবাই ফিলিস্তিনি।
হামাস সূত্র জানিয়েছে, আগামী শনিবার পঞ্চম জিম্মি-বন্দী বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।
ছয় সপ্তাহের এই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী প্রায় এক হাজার ৯০০ জনকে মুক্তি দেওয়া, যাদের বেশিরভাগই ফিলিস্তিনি।