সিরিয়ার দক্ষিণে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সরকার ও যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জঙ্গিদের গুলিবর্ষণের জবাব দিতে তাদের বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করে।

স্থানীয় সরকারের টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি অনুপ্রবেশের পর এই গোলাবর্ষণ করা হয়। দখলদার বাহিনী প্রথমবারের মতো এত গভীরে অগ্রসর হয়।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ওই এলাকার মসজিদগুলো ইসরায়েলি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দেওয়ার পর সিরিয়ার স্থানীয় বন্দুকধারীরা ইসরায়েলি বাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টা করলে তারা নিহত হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী নাওয়ার কাছে তাসিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ‘অস্ত্র জব্দ করে ও সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করে। এই সময় বেশ কয়েকজন বন্দুকধারী তাদের বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা তাদের ওপর গুলি চালিয়ে জবাব দেয় এবং স্থল ও আকাশ থেকে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে হত্যা করে, তবে এতে কোনো ইসরায়েলি হতাহত হয়নি।’

ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আইডিএফ সিরিয়ায় সামরিক হুমকির অস্তিত্ব থাকতে দেবে না এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ সিরিয়াকে সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্রীকরণের দাবি করে জানায়, তার সরকার ইসরাইলি ভূখণ্ডের কাছে নতুন ইসলামপন্থী-নেতৃত্বাধীন সরকারের বাহিনীর উপস্থিতি মেনে নেবে না।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা দামেস্কে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাতকালে, নেতানিয়াহু ইসরায়েলি সেনাদের ইসরায়েল-অধিকৃত ও সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির মধ্যবর্তী জাতিসংঘ বাফার জোনে প্রবেশের নির্দেশ দেন। ইসরায়েলি সেনা সেখানে রয়ে গেছে।

গত বছরের শেষের দিক থেকে ইসরায়েল তার প্রতিবেশী সিরিয়ার ওপর শত শত বিমান হামলা চালায়। বেশিরভাগ হামলা চালানো হয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে।

বুধবার (২ এপ্রিল) ইসরায়েল দামেস্ক এলাকাসহ সিরিয়া জুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।