হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে লেবাননের সঙ্গে আলোচনা মার্কিন দূতের

লেবাননের শিয়া ইসলামপন্থী সংগঠন হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করতে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপ-বিশেষ দূত মরগান ওর্টাগাস। আজ রোববার (৬ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
লেবাননের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, শনিবার (৫ এপ্রিল) বৈরুতে দেশটির রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন ওর্টাগাস। তবে নিরস্ত্রকরণের জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) জানিয়েছে, ওর্টাগাস রোববার অর্থমন্ত্রী ইয়াসিন জাবের, অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী আমের বিসাত ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর করিম সৌয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
গণমাধ্যমকে ব্রিফ করার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবাননের এক কর্মকর্তা বলেন, ওর্টাগাস হিজবুল্লাহর সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে লেবাননের সেনাবাহিনীর কাজ জোরদার ও কাজের গতি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেননি। হিজবুল্লাহর অস্ত্র রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলেছেন।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল যখন লেবাননে ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন ওর্টাগাস দ্বিতীয়বারের মতো দেশটিতে সফরে গেলেন।
সফরকালে ওর্টাগাস কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। তবে লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ও প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম শনিবার (৫ এপ্রিল) তার সঙ্গে আলোচনাকে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করেছেন। তারা বলেছেন, ওর্টাগাসের সঙ্গে দক্ষিণ লেবাননের পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির ভিত্তি তৈরি করতে গত ২৭ নভেম্বর জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে দেশটির সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরাই সশস্ত্র থাকতে পারবে। সেখানে সব ধরনের বেসরকারি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে লেবাননের নতুন কর্তৃপক্ষ বৈরুতের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী ও ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োগ করছে।
লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানায়, ইরান থেকে হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে ইসরায়েল বৈরুত বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে—এমন সতর্কবার্তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ফেব্রুয়ারি থেকে লেবানন ও ইরানের মধ্যে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।