গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত আরও ২৬

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৮১০ ছাড়িয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
হামলার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজা এখন “একটি হত্যাকাণ্ডের ময়দান” হয়ে উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৮৮ জন আহত হয়েছেন। গাজা সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এই সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা বহু মানুষ নিখোঁজ থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে, ইসরায়েলি পুলিশ ও কর্মকর্তারা পূর্ব জেরুজালেমে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ইউএনআরডব্লিউএ-র ছয়টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ১৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।