ইরান-মার্কিন পরমাণু আলোচনা দীর্ঘস্থায়ী হবে না, জানাল তেহরান

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান ‘পরোক্ষ’ আলোচনা দীর্ঘস্থায়ী হবে না- এমনটাই আশা করছে ইরান। আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। খবর এএফপির।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমায়েল বাকাঈ এই আলোচনাকে ‘শুধু একটি সূচনা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা আশা করছি না যে আলোচনার এই পর্বটি খুব দীর্ঘ হবে।’
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ওমানের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ আলোচনা চলছে। পরোক্ষ আলোচনা বলতে বোঝায় যখন দুটি পক্ষ সরাসরি মুখোমুখি না বসে তৃতীয় কোনো পক্ষের (এখানে ওমান) মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় করে থাকে।
গত ৮ এপ্রিল ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানান, শনিবার ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র ওমানে ‘পরোক্ষ উচ্চ-পর্যায়ের’ আলোচনায় বসবে।
তাসনিম নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, আব্বাস আরাঘচি নিজেই ইরানের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির শীর্ষ দূত স্টিভ উইটকফ।

এর আগে ৭ এপ্রিল ওভাল অফিসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছি এবং তা শুরু হয়ে গেছে। শনিবার পর্যন্ত এটি চলবে। আমাদের একটি বড় বৈঠক রয়েছে, দেখা যাক কী হয়।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে একটি পরমাণু চুক্তি হয়। এই চুক্তির অধীনে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে রাজি হয়েছিল, যার বিনিময়ে দেশটির ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। তবে ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ইরানের ওপর পুনরায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।