এবার ভারত-পাকিস্তানকে সংঘাত বন্ধের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রসহ জি-৭ দেশগুলোর

উপমহাদেশের পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চলমান এ সংঘাত বন্ধ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য দেশ দুটিকে আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স আজ শনিবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ‘গঠনমূলক আলোচনার’জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাকিস্তান-ভারত উভয়পক্ষকে উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন রুবিও। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরুর জন্য মার্কিন সহায়তা দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদিকে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জি-৭ জোট। জোটের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বিবৃতিতে ‘অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো’ও ‘সর্বোচ্চ সংযম’দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
সংঘাতে লিপ্ত ভারত-পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে জি-৭ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, ‘সামরিক উত্তেজনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি। দুই দেশেরই শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে সরাসরি সংলাপে বসা উচিত।’

গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এ ঘটনায় সিন্ধু নদের পানি বণ্টনচুক্তি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা বাতিলসহ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও। দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’নামে সংক্ষিপ্ত সেনা অভিযান পরিচালনা করে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুন্ইয়ানুম মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান।