আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ দাবা খেলা

আফগানিস্তানে অনির্দিষ্টকালের জন্য দাবা খেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। কর্তৃপক্ষের মতে, এই খেলা ইসলামী শরিয়ার দৃষ্টিতে জুয়ার মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার (১১ মে) তালেবান সরকারের ক্রীড়া অধিদপ্তরের মুখপাত্র আতাউল মাশওয়ানি জানান, “দাবা খেলার বিষয়ে শরীয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু ধর্মীয় বিবেচনা রয়েছে। সেই বিবেচনা না মেটা পর্যন্ত, আফগানিস্তানে দাবা খেলা স্থগিত থাকবে।”
২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে তালেবান সরকার একের পর এক ধর্মীয় আইন চালু করেছে। এর মধ্যে বিশেষভাবে নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ক্যাফেতে নিয়মিত দাবা প্রতিযোগিতা করা কাবুলের ক্যাফে মালিক আজিজুল্লাহ গুলজাদা বলেন, “অনেক তরুণ প্রতিদিন এখানে এসে চা খেত এবং দাবা খেলত। এখন তাদের জন্য একটা বড় বিনোদন বন্ধ হয়ে গেল।”
তিনি আরও বলেন, “অন্য মুসলিম দেশেও তো দাবা খেলা হয়।”
এর আগে, গত বছর মিক্সড মার্শাল আর্টস (এমএমএ) খেলাও নিষিদ্ধ করেছিল তালেবান। এক মুখপাত্র তখন বলেছিলেন, “এই খেলাটি শরীয়ার দৃষ্টিতে সমস্যা সৃষ্টি করে এবং ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”
২০২১ সালেই “মুখে ঘুষি মারা” নিষিদ্ধ করে আইন চালু করে তালেবান, যার ফলে এমএমএ কার্যত অবৈধ হয়ে পড়ে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসলামি বিশ্বের অন্যান্য দেশে দাবা খেলা স্বাভাবিকভাবে চালু থাকলেও আফগানিস্তানে এমন নিষেধাজ্ঞা তালেবানের কট্টর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।