হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনা স্থগিত করল আদালত

যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনা সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন দেশটির আদালত। আজ শুক্রবার (২৩ মে) ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরের একটি আদালত এই আদেশ দেন। বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজই মামলা করেছিল হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষের করা মামলায় বলা হয়, কলমের এক খোঁচায় বিশ্ববিদ্যালয়টি এর এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থীকে ‘মুছে’ ফেলতে চাইছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও দাবি করে, বিদেশি এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নিজেদের ভর্তি ও নিয়োগ-সংক্রান্ত চর্চায়ও তারা পরিবর্তন এনেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে একটি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৬ হাজার ৮০০ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন, যা ওই শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া মোট শিক্ষার্থীর ২৭ শতাংশের বেশি।
হার্ভার্ডের করা মামলার প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের উপপ্রেস সচিব অ্যাবিগালি জ্যাকসন বলেছেন, হার্ভার্ড যদি তাদের ক্যাম্পাসে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী, ইহুদিবিদ্বেষী ও সন্ত্রাসবাদপন্থি উসকানিদাতাদের রুখতে গুরুত্ব দিত তাহলে তারা শুরুতেই এমন পরিস্থিতিতে পড়ত না। তিনি আরও বলেন, অর্থহীন মামলা করার চেয়ে তাদের এখন ক্যাম্পাসের পরিবেশ নিরাপদ করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন এই পদক্ষেপের আগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া ফেডারেল সরকারের তহবিলে কাটছাঁট শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ববিদ্যালয়টি বৈষম্যমূলক ‘গভীর সমস্যায়’ জর্জরিত উল্লেখ করে এরই মধ্যে তার প্রশাসন হার্ভার্ডের ২৬৫ কোটি ডলারের তহবিল কমিয়েছে। ওই বিষয়টি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে উত্থাপন করেছে।